ঠোঁট ফাটা কিভাবে দূর করা যায় এবং ঠোঁট ফাটার ক্রিমের নাম

ঠোঁট ফাটা কিভাবে দূর করা যায় এবং ঠোঁট ফাটার ক্রিমের নাম এই বিষয়ে যদি জানতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। বিশেষ করে শীতের সময় আমাদের ঠোঁট ফেটে যায় কিন্তু অতিরিক্ত ঠোঁট ফাটার কারণ কি এবং ঠোঁটফাটা কিভাবে দূর করা যায় এগুলো বিষয়ে আমাদের অজানা। তাই চলুন আজকের এই আর্টিকেল থেকে ঠোঁট ফাটা কিভাবে দূর করা যায় এবং ঠোঁট ফাটার ক্রিমের নাম কি জেনে নেওয়া যাক। 

ঠোঁট ফাটা কিভাবে দূর করা যায় এবং ঠোঁট ফাটার ক্রিমের নাম

অতিরিক্ত ঠোঁট ফাটার কারণ কি ঠোঁট ফাটা কিভাবে দূর করা যায় এ সকল বিষয় সহ এ সম্পর্কে তারও কিছু বিষয় বিস্তারিত জানার জন্য পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে। তাহলে চলুন নিচের অংশগুলো থেকে জেনে নেওয়া যায়। 

পোস্ট সূচিপত্রঃ ঠোঁট ফাটা কিভাবে দূর করা যায় এবং ঠোঁট ফাটার ক্রিমের নাম 

অতিরিক্ত ঠোঁট ফাটার কারণ কি - গরমে ঠোঁট ফাটার কারণ

আমাদের শরীরের অন্যান্য অংশের থেকে ঠোঁট একটু বেশি ফাটে এর কারণ হলো শরীরের অন্যান্য চামড়ার থেকে ঠোঁটে চামড়া অনেক পাতলা এবং নরম হয়ে থাকে। ঠোঁট ফাটার বিশেষ কিছু কারণ রয়েছে এগুলোর কারণে শীতকালে বা গরমকালে আমাদের ঠোঁট ফেটে যায়। অতিরিক্ত ঠোট ফাটার কারণ গুলো হলোঃ

  • ঠোঁটে অতিরিক্ত বাতাস লাগার ফলে ঠোঁট ফেটে যায়।
  • আবার অনেকের অভ্যাস রয়েছে জিহ্বা দিয়ে ঠোঁট ভেজানো কিন্তু এই জিব্বা দিয়ে ঠোঁট বীজানোর কারণে ঠোঁট ফেটে যায়।
  • আবহাওয়া এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঠোঁট ফাটে।
  • যে কোন রোগের ঔষধ অতিরিক্ত সেবনের কারণে সেগুলো সাইড ইফেক্ট শরীরে খারাপ প্রভাব ফেলে সেই কারণেও ঠোঁট ফাটে।
  • আবার ঠোঁট যেহেতু আমাদের নাকের নিচে থাকে তাই অনেক সময় নাকের নিঃশ্বাস লাগার কারণে ঠোঁট ফাটে। 

ঠোঁট ফাটা কিভাবে দূর করা যায় - গরমে ঠোঁট ফাটা দূর করার উপায়

আপনার যদি অতিরিক্ত ঠোঁট পাঠে তাহলে কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করে ঠোঁটফাটা দূর করতে পারবেন। ঠোঁটফাটা দূর করার জন্য কিছু ঘরোয়া উপাদান রয়েছে যেগুলো সচরাচর আমাদের বাসা বাড়িতে থাকেই। তাহলে জেনে রাখুন ঠোঁট কাটা কিভাবে দূর করা যায় এবং সেটা ঘরোয়া ভাবে কিভাবে করতে পারবেন। 

১। ঠোটের আদ্রতা যখন শুষ্ক হয়ে যায় তখন আমাদের ঠোঁট ফেটে যায় সেজন্য ঠোঁটের আদ্রতা ধরে রাখতে বেশি বেশি পানি পান করতে হবে। বেশি বেশি পানি পান করলে ঠোঁট ফাটা দূর হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।

২। আপনার বাসায় যদি এলোভেরা অর্থাৎ ঘৃতকুমারীর গাছ থাকে তাহলে সেটার ভেতর থাকা সাদা অংশ গুলো বের করে নিয়ে ভালো করে ঠোটের মধ্যে লাগাবেন এভাবে যদি কয়েকদিন লাগান তাহলে আপনার ঠোঁট ফাটা দূর হয়ে যাবে।

৩। যদি অতিরিক্ত ঠোঁট ফেটে যায় তাহলে ভালো একটি লিপ বাম অর্থাৎ পেট্রোলিয়াম জেলি প্রতিদিন দুইবার করে ব্যবহার করবেন। তবে যেকোনো ধরনের পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করা যাবে না যেগুলো ভালো মানের সেটা ব্যবহার করতে হবে তাহলে ঠোঁটফাটা দূর হয়ে যাবে।

৪। কাঁচা দুধ এবং গোলাপের পাপড়ি দিয়ে পেস্ট তৈরি করে সেগুলো ঠোঁটে লাগালে ঠোঁট ফাটা ভালো হয়ে যায়। প্রথমে হালকা পরিমাণ দুধ নিবেন এবং তার মধ্যে গোলাপের পাপড়ি ডিজাইন দিয়ে সেগুলো দুধ দিয়ে গোলাপের পাপড়ি গুলো ভালোভাবে পিষে নিবেন এবং সেগুলো ঠোঁটে লাগাবেন তাহলে ঠোঁট ফাটা দূর হয়ে যাবে। 

আরো পড়ুনঃ অধিক সময় সহবাসের উপায় এবং অধিক সময় সহবাসের দোয়া

৫। ঠোঁট ফাটা ভালো করার জন্য বেশি বেশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যুক্ত খাবার এবং ভিটামিনযুক্ত খাবার খেতে হবে। এগুলো খাওয়ার যদি আপনি নিয়মিত বেশি বেশি খেতে পারেন তাহলে ঠোঁট কাটার সমস্যা হাঁটার সমস্যা থাকবে না বা হবে না।

৬। আমাদের মুখে ব্যবহার করার জন্য স্কাবার ক্রিম রয়েছে যেগুলো আমাদের মুখের ত্বককে সুরক্ষা করে। তেমনি ঠোঁটের জন্য স্কাবার ক্রিম রয়েছে সেটা যদি আপনি ব্যবহার করতে পারেন তাহলে ঠোঁট ফাটা দূর হয়ে যাবে। 

৭। গ্রিন টি এর মধ্যে এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে তাই সেটার মাধ্যমে ঠোঁটফাটা ভালো করতে পারেন। প্রথমে আপনি একটি গ্রিন টি এর ব্যাগ থেকে টি অর্থাৎ চা তৈরি করে নিবেন। চা তৈরি করা হয়ে গেলে গ্রিন টি এর ব্যাগটি ফেলে না দিয়ে সেটি আপনার ঠোঁটের উপর বসিয়ে রাখবেন এভাবে কিছুক্ষণ রাখার পরে ফেলে দিবেন এভাবে আপনি আপনার ঠোঁট ফাটা ভালো করতে পারবেন। 

৮। ভিটামিন সি এবং ভিটামিন বি এর অভাবে আমাদের ঠোঁট ফেটে যায় তাই ঠোঁট ফাটা প্রতিরোধ করার জন্য বেশি বেশি ভিটামিন সি যুক্ত এবং ভিটামিন বি যুক্ত খাবার খেতে হবে। তাই আপনার দৈনন্দিন খাবারের তালিকায় ভিটামিন বিযুক্ত এবং ভিটামিন সি যুক্ত খাবার রাখার চেষ্টা করবেন।

৯। যখন বাহিরে বের হবেন তখন সানস্ক্রিন ব্যবহার করবেন। কারণ অতিরিক্ত সূর্যের রশ্মি আমাদের মুখের এবং ঠোঁটের অনেক ক্ষতি করে থাকে। যদি অনেক সময় মেয়েদের মুখ ঢাকা থাকে কিন্তু সানস্ক্রিন ব্যবহার করার ফলে মুখ এবং ঠোট সুরক্ষিত থাকবে। তবে অতিরিক্ত বেশি পরিমাণ ব্যবহার করবেন না এতে করে উপকারের চেয়ে ক্ষতি হতে পারে বেশি।

১০। ঠোঁট ফাটা দূর করার জন্য আরেকটি ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করতে পারেন সেটি হল চিনি এবং নারিকেল তেল। প্রথমে একটি পাত্রের মধ্যে হালকা পরিমাণ নারকেল তেল নিবেন তার মধ্যে হালকা পরিমাণ চিনি দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিবেন। মিশিয়ে নেওয়ার পরে সেগুলো ঠোঁটের মধ্যে ভালো করে লাগাবেন এভাবে যদি কয়েকদিন ব্যবহার করেন তাহলে দেখবেন ঠোঁটফাটা দূর হয়ে গেছে ইনশাআল্লাহ। 

ঠোঁট ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে

আমাদের শরীরে যখন বিভিন্ন রকম ভিটামিনের অভাব দেখা দেয় তখন সেই ভিটামিনের অভাবের কারণে বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দেয় বা রোগ বালাই দেখা দেয়। তেমনি আমাদের একটি সমস্যা হল ঠোঁট ফাটা। এই ঠোঁট ফাটার কারণে ঠোঁটের ত্বক নষ্ট হয়ে যায় এবং অত্যন্ত সমস্যা সৃষ্টি করে। 

\কিন্তু আপনি কি জানেন ঠোটফাট এ কোন ভিটামিনের অভাবে? হয়তো জানেন না ঠোঁট ফাটে ভিটামিন বি এবং ভিটামিন সি এর অভাবে। যখন আপনার শরীরে ভিটামিন বি এবং ভিটামিন সি এর অভাব দেখা দেয় তখন সেটার কারণে অতিরিক্ত ঠোট ফাটতে থাকে। 

আরো পড়ুনঃ কিভাবে তাড়াতাড়ি লম্বা হওয়া যায়

তাই ঠোঁটফাটা প্রতিরোধ করতে চাইলে নিয়মিত ভিটামিন বি যুক্ত এবং ভিটামিন সি যুক্ত খাবার বেশি বেশি খেতে হবে। তাহলেই ঠোঁট ফাটার মতো সমস্যা সৃষ্টি হবে না ইনশাআল্লাহ। আর এগুলো খাবার খাওয়ার পাশাপাশি ঠোঁটের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয়। তাই খাবার খাওয়ার পাশাপাশি ঠোঁটের যত্ন নিতে হবে। 

ঠোঁট ফাটার ওষুধ

অতিরিক্ত ওষুধ সেবন করা আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর। কারণ অতিরিক্ত ওষুধ সেবন করার কারণে আমাদের শরীরে এগুলোর সাইড ইফেক্ট পড়ে বিভিন্ন রকম সমস্যা সৃষ্টি হয় তাই ঠোঁট ফাটা ভালো করার জন্য কোন ঔষধ খাওয়ার প্রয়োজন নেই। 

অনেক সময় আবহাওয়া এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঠোঁট ফাটে তাই যখন আবহাওয়া আবার পরিবর্তনের স্বাভাবিক অবস্থায় আসবে তখন ঠোঁটফাটা এমনিতেই ভালো হয়ে যাবে এটা নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কোন কারণ নেই এবং ঠোঁট ফাটার ঔষধ সেবন করার কোন প্রয়োজন নেই। 

আমরা ঠোঁট ফাটার কোন ঔষধ খুঁজে পাইনি তাই আপনাকে ঠোঁট ফাটার ঔষধের নাম জানাতে পারলাম না। তবে ডাক্তারের দোকানে ঠোঁট কাটা ভালো করার জন্য কিছু লিপবাম পাওয়া যায় সেগুলো কিনে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে ঠোঁটফাটা ভালো হবে। 

ঠোঁট ফাটার ক্রিম

যদি ঠোঁট ফাটা ভালো করার জন্য ক্রিম ব্যবহার করতে চান তাহলে মেরিল পেট্রোলিয়াম জেলি অথবা ভ্যাসলিন ব্যবহার করতে পারেন কারণ এগুলোর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই এবং ঠোঁটফাটা খুব তাড়াতাড়ি ভালো করে। 

আরো পড়ুনঃ অ্যালোভেরা জেল এর উপকারিতা

বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন রকম ফ্লেবার যুক্ত ঠোঁটফাটা ভালো করার ক্রিম পাওয়া যাচ্ছে যেগুলো আমাদের ঠোঁটের জন্য অনেকটা ক্ষতিকর হতে পারে। তাই বিভিন্ন রকম ফ্লেভারযুক্ত ঠোঁট ফাটার ক্রিম ব্যবহার না করে মেরিল পেট্রোলিয়াম জেলি অথবা ভেসলিন ব্যবহার করবেন। 

ঠোঁট ফাটা কিভাবে দূর করা যায় এবং ঠোঁট ফাটার ক্রিমঃ শেষ কথা

প্রিয় বন্ধুগণ আশা করছি আপনারা আজকের আর্টিকেলটি পড়ে ঠোঁট ফাটা কিভাবে দূর করা যায় এবং ঠোঁট ফাটার ক্রিমের নাম এবং ঠোঁট ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে ঠোঁট ফাটার ঔষধের নাম ঠোঁট ফাটার ক্রিমের নাম গুলো জানতে পেরেছেন। 

আপনাদের যদি ঠোঁট ফাটা সম্পর্কে আরো কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন। এবং আমাদের আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের কেমন লেগেছে সেটা কমেন্টের মাধ্যমে জানিয়ে দিতে পারেন। এরকম আরো সুন্দর সুন্দর বিষয় জানতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকবেন ধন্যবাদ। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url