বাচ্চাদের আমাশয় হলে কি খাওয়া উচিত - ৩ মাসের বাচ্চাদের আমাশয় হলে করণীয়

আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন আপনি কি বাচ্চাদের আমাশয় হলে কি খাওয়া উচিত এই বিষয়ে জানতে চান তাহলে আজকের আটিকেলটি আপনার জন্য অনেক সময় ছোট বাচ্চাদের আমাশয় হয় তো আমাশয় ভালো করার জন্য কি খাওয়া উচিত এগুলো বিষয়ে আমরা জানিনা তাই আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে বিস্তারিত জেনে নিন বাচ্চাদের আমাশয় হলে কি খাওয়া উচিত এবং৩ মাসের বাচ্চাদের আমাশয় হলে করণীয় এই বিষয়ে।
বাচ্চাদের আমাশয় হলে কি খাওয়া উচিত
তো চলুন নিচের অংশগুলো থেকে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেয়া যাক বাচ্চাদের আমাশয় হলে কি খাওয়া উচিত এবং৩ মাসের বাচ্চাদের আমাশয় হলে করণীয় বাচ্চাদের আমাশয়ের লক্ষণ এ সকল বিষয় সহ আরো গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে।

পোস্ট সচিপত্র: বাচ্চাদের আমাশয় হলে কি খাওয়া উচিত - ৩ মাসের বাচ্চাদের আমাশয় হলে করণীয়

বাচ্চাদের আমাশয় হলে কি খাওয়া উচিত

বন্ধুরা সমস্যায় যে কোন বয়সে হতে পারে ছোট কিংবা বড় যে কারো আমার সেই রোগ হয়ে থাকে আপনার পেটে যদি আমাশয় জীবাণু ঢুকে যায় তাহলে আপনার আমাশয় রোগ হতে পারে তবে রোগটি বেশিরভাগ বাচ্চাদের হয়ে থাকে এই রোগটি বাচ্চাদের জন্য কমন একটি বিষয় বাচ্চারা বেশিরভাগ সময় আঙ্গুল মুখে দেয় যার কারণে রোগটি হয়ে থাকে এবং আবিষ্কার খাবার খেলে আমাশয় রোগটি হয় তাই বাচ্চাদের আমাশয় হলে কি খাওয়া উচিত সে বিষয়ে জানতে হবে।

এছাড়া অনেক সময় বাচ্চাদের আমাশয় হওয়ার কারণে বাবা মা অনেক চিন্তায় পড়ে যাই কি খাবার খাওয়ানো যায় অনেক সময় না জানার কারণে ভুল করে বিভিন্ন রকম খাবার খাওয়ানোর জন্য রোগটি অনেক বেড়ে যায় তাই সঠিক খাবার কি কি সেগুলো বিষয় জানতে হবে।

আরো পড়ুনঃ রাতকানা রোগ কেন হয় - রাতকানা রোগ কি

বেশিরভাগ সময় ডাক্তারেরা এবং বিশ্ব বিশেষজ্ঞরা ব্যাট ডায়েট খেতে বলে ব্যাট ডায়েট হল ফুড ডায়েট বা চাল, কলা এবং আপেল ইত্যাদি এগুলো খেলে বাচ্চার হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় যার কারণে আমাশয় খুব তাড়াতাড়ি ভালো হতে সাহায্য করে।

১। জাউ ভাতঃ আপনি যদি বাচ্চাকে নরম জাউ ভাত খাওয়ান তাহলে এটা হজম শক্তি বৃদ্ধি করায় এতে বাচ্চা খুব সহজে দুর্বল হয়ে পড়ে না এছাড়া জাউ ভাতের সাথে দই খাওয়ালে আমাশয় হয় না।

২। কলাঃ আমাদের ফল খাবারের মধ্যে কলা একটি চাহিদা মূলক খাবার কলা অনেকেই খেতে পছন্দ করে কলাতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পটাশিয়াম আয়রন থাকে। বাচ্চাদের আমাশয় হলে দু একটা কলা খাওয়াতে পারেন এতে আমাশয় কেটে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে।

৩। আপেলঃ বাচ্চাদের যদি আমার সহ্য হয় তাহলে এই সময় শরীরের লবণ খনিজ এগুলো বের হয়ে যায় যার কারনে ভিটামিনযুক্ত খাবার খাওয়াতে হবে সেজন্য আপনি চাইলে আপেল খেতে পারেন এই খাবারে ফাইবার খনিজ লবণ মিনারেল এবং প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকে সেজন্য বাচ্চাদেরকে আমাশয় এবং ডায়রিয়া থেকে সুস্থতা করে তুলতে সাহায্য করে আপেল।

৩ মাসের বাচ্চাদের আমাশয় হলে করণীয়

তিন মাসের বাচ্চাদের আমাশয় হলে খেয়াল করে দেখবেন কিছুদিন পর পর ঘন আমাশয় হয়ে থাকে এবং কিছুক্ষণ পরপর কান্না করে এবং তার সাথে পানির মত পায়খানা করে থাকে কিছুক্ষণ পর পর এছাড়া কাশির সাথেও হালকা করে পায়খানা হতে পারে এরকম ১০ থেকে ২০ হতে পারে একটু সবুজ একটু ফেনা ফেনা এরকম পায়খানা আমাশয় হতে পারে।

আরো পড়ুনঃ  চর্মরোগ কেন হয় - চর্মরোগ থেকে মুক্তির ৫ টি উপায় 

এরকম বিষয়ে যদি আপনার বাচ্চার সাথে হয়ে থাকে তাহলে ভয়ের কোন কারণ নেই আপনার বাচ্চাকে নিয়মিত যদি বুকের দুধ খান তাহলে নিয়মিত বুকের দধি খাওয়াতে থাকেন কিছু দিনের মধ্যে এ সমস্যাটি সেরে যাবে।

বাচ্চাদের আমাশয়ের লক্ষণ

অনেক সময় দেখা যায় বাচ্চাদের আমাশয় অনেক সময় অতিরিক্ত হয়ে যায় তো বাচ্চাদের আমাশয় এর লক্ষণ হলঃ

১। নোংরা পানিতে বা নোংরা কোন খাবার নোংরা জাতীয় কোন জিনিসে হাত দিয়ে সে হাত যদি মুখে দেয় তাহলে বাচ্চাদের আমাশয় হয় ।

২। বাচ্চা যদি নদীতে বা পুকুরে সাঁতার কাটার সময় ময়লা পানি পেটে যায় তাহলে আমাশয় হয়।

৩। পানি থেকেও হতে পারে তবে চিকিৎসকের কথায় বলা হয়েছে যে পানি থেকে খুব তাড়াতাড়ি আমাশয় হয় ।

৪। সংক্রিত মানুষের ছুঁয়ে দিলে বা ছায়া নিলে আমাশয় হয়।

৫। নোংরায় হাত দিলে সে হাত যদি ভাল করে না ধলে আমাশয় হয়

বাচ্চাদের আমাশয় ঔষধ নাম

অনেক সময় বাচ্চাদের আমাশয় হয় সে সময় বাবা এবং মা অনেক চিন্তায় পড়ে যায় কি ওষুধ খাওয়ানো যাবে এবং কি ওষুধ ভালো হবে ওষুধের নাম জানিনা এবং ছোট বাচ্চাকে ওষুধ খাওয়ালে সমস্যা হবে কিনা এ বিষয়ে অনেক চিন্তিত থাকে তো বাচ্চাদের আমাশয় হলে কি ওষুধ ভালো হবে সেগুলো ওষুধের নাম।
  • ফিলমেট সিরাপ
  • জক্স সিরাপ
ফিলমেট সিরাপ
এক বছরের বাচ্চাদের হাফ চামচ করে খাওয়াতে হবে আর আপনার বাচ্চা যদি বয়স ৩ বছর হয়ে থাকে তাহলে আপনি এক চামচ করে খাওয়াতে পারবেন আর যদি বয়স আরো বাড়তি হয় যেমন ৬ থেকে ১২ বছর বয়স তাহলে আপনি দুই চামচ করে খাওয়াতে পারেন। এই সিরাপটির ওজন ৬০ মিলি এবং এর দাম মাত্র ৩৫ টাকার মতো আপনার কাছ থেকে কিছু কম নিতেও পারে এবং এটা খেয়াল রাখবেন সেরা পেনিয়ার সময় অবশ্যই ডেট চেক করে নেবেন।
জক্স সিরাপ

এই সিরাপটি বাচ্চাদের আমাশয় এন্টিবায়োটিক ওষুধ নামে পরিচিত এ ওষুধটি খাওয়ানোর দুই দিনের মধ্যে আমাশয় ভালো হয়ে যায় ওষুধটি খানন নিয়ম হল এই সিরাপটি আপনাকে আগে ঝাকিয়ে নিতে হবে তারপর বিশ মিলি পানির সাথে মিশিয়ে ওষুধটি গুলে নিতে হবে পানিতে অবশ্যই ঠান্ডা পানি হতে হবে এবং এক থেকে তিন বছর বয়সের বাচ্চাকে এক চামচ করে খাওয়াতে হবে আর যদি আপনার বাচ্চার বয়স আরো বেশি হয় যেমন ৭ থেকে ১১ বছর তাহলে দুই চামচ করে খাওয়াতে পারেন এতে কোন সমস্যা নাই।

আরো পড়ুনঃ ফরজ গোসল কখন করতে হয় - কতটুকু বীর্য বের হলে গোসল ফরজ হয়

তবে এই ওষুধটি রোগের উপর নীতিয়তা করে খাওয়াতে পারেন রোগ যদি কম হয় তাহলে আপনার ওষুধটি কমবেশি করে খাওয়াতে পারেন এই সিরাপটির ওজন ৩০ মিলি এবং এই সিরাপটির দাম মাত্র ৪০ টাকা তবে বাজারের মূল্যে উঠানামার কারণে আপনার কাছ থেকে বেশি এবং কমন নিতে পারে এবং সঠিক নেয়ার সময় ভালোভাবে ডেট দেখে নিবেন।

বাচ্চাদের আমাশয় সিরাপ

বাচ্চাদের আমাশয় হওয়ার কারণে অনেক সমস্যা দেখা দেয় যেমন ঘন ঘন পায়খানা পায়খানা সাথে সবুজ রং পানির মতো পায়খানা হয় যার কারণে বাচ্চাদের অনেক সমস্যা দেখা দেয় তো আমরা অনেকেই বাচ্চাদের জন্য ভালো সিরাপ খুঁজি কিন্তু অনেকেই আমরা ভালো সেভাবে নাম জানে না যার কারণে আমাদের বুঝতে ও জানতে সমস্যা হয় বাচ্চাদের আমাশয় সিরাপ এর নাম হলো ফিলমেট সিরাপ জক্স সিরাপ

৬ মাসের বাচ্চাদের আমাশয় হলে করণীয়

আপনার বাচ্চার বয়স যদি ছয় মাস হয়ে থাকে এবং তা যদি আমাশ হয় হয় তাহলে কি করে ভালো করবেন কি খাওয়ার খাওয়ানো যাবে এগুলো বিষয়ে অনেক চিন্তিত হয়ে থাকেন সেজন্য আমি আজকে এই বিষয়ে জানো যে ছয় মাসের বাচ্চাদের মাংস হলে করণীয় কি ঘনঘন পায়খানা হয় এবং পানির মত পায়খানা হয় এছাড়া ডাক্তারের চিকিৎসা নিতে দেরি হলে দিনে ১০ থেকে ১৫ বার পায়খানা হয় যার কারণে বাচ্চাদের শরীর অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে।

তাই আপনি আপনার ছয় মাসের বাচ্চার আমাশয় হলে ডাক্তারের চিকিৎসা নেওয়ার আগে বুকের দুধ খাওয়াতে থাকবেন এতে কোন সমস্যা নাই তারপরে জক্স সিরাপটি খাওয়াবেন এতে আপনার বাচ্চা খুব শীঘ্রই সুস্থ হয়ে উঠবে।

বাচ্চাদের আমাশয় হলে কি খাওয়া উচিত - ৩ মাসের বাচ্চাদের আমাশয় হলে করণীয়ঃ শেষ কথা

বাচ্চাদের আমাশয় হলে কি খাওয়া উচিত এবং ৩ মাসের বাচ্চাদের আমাশয় হলে করণীয় বাচ্চাদের আমাশয়ের লক্ষণ বাচ্চাদের আমাশয় ঔষধ নাম বাচ্চাদের আমাশয় সিরাপ ৬ মাসের বাচ্চাদের আমাশয় হলে করণীয় আশা করতেছি আজকের আর্টিকেলটি পড়ে যে সকল বিষয়ে জানার দরকার সে সকল বিষয় জানানোর চেষ্টা করছি আজকের এই পুরোটি পড়ার পরে বাচ্চাদের আমাশয় হলে কি খাওয়া উচিত এবং ৩ মাসের বাচ্চাদের আমাশয় হলে করণীয়।

এ বিষয়ে কোন সমস্যায় পড়তে হবে না এরপরে যদি কোন সমস্যায় পড়েন তাহলে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাতে পারেন এবং এর রিলেটেড আর্টিকেল প্রতিনিয়ত পাওয়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন এতক্ষণ অব্দি আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। দেখা হচ্ছে পরবর্তী কোনো আর্টিকেলে সে অব্দি ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url