হালাল শব্দের অর্থ কি - হারাম শব্দের অর্থ কি
হালাল শব্দের অর্থ কি হারাম শব্দের অর্থ কি হারাম বর্জনীয় কেন এরকম আরো বেশ কিছু বিষয়ে জানতে পারবেন তাই নিচের অংশগুলো ভালোভাবে পড়তে থাকুন। তাহলে চলুন শুরু করা যাক আজকের আর্টিকেলটি।
পোস্ট সূচিপত্রঃ হালাল শব্দের অর্থ কি - হারাম শব্দের অর্থ কি
- হালাল শব্দের অর্থ কি
- হারাম শব্দের অর্থ কি
- হারাম বর্জনীয় কেন
- হালাল উপার্জন কাকে বলে
- হারাম খাবার কি কি
- কোন কোন মাছ খাওয়া হারাম
- হারাম খাবারের কোড তালিকা
- হালাল শব্দের অর্থ কি - হারাম শব্দের অর্থ কিঃ শেষ কথা
হালাল শব্দের অর্থ কি
অনেক অনেক সময় ইন্টারনেটে সার্চ করে জানতে চেয়ে থাকেন হালাল শব্দের অর্থ কি? আসলে এই বিষয়ে হয়তো আমরা সবাই জানি কিন্তু এর প্রকৃত অর্থ কি তা হয়তো অনেকেরই অজানা। হালাল একটি আরবি শব্দ যার অর্থ হলো বৈধ উপকারী এবং কল্যাণকর।
হঠাৎ মানুষ এবং আল্লাহর যত সৃষ্টি রয়েছে সকলের জন্য যেগুলো উপকারী এবং কল্যাণকর সেই সবকিছুই হালাল। আর আল্লাহ তায়ালা এগুলো উপকারী এবং বৈধ কাজ এবং জিনিসকে হালাল করে দিয়েছেন। আমাদের বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সব সময় হালাল পথে থাকার জন্য উপদেশ দিয়ে গেছেন।
আরো পড়ুনঃ নামাজের ফরজ ওয়াজিব কয়টি - পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মোট কত রাকাত
তাই আমরা যেহেতু তার অনুসারী সেজন্য আমাদের অবশ্যই হালাল পথে উপার্জন এবং খাদ্য
গ্রহণ করা প্রয়োজন। হালাল সবকিছু আল্লাহ পছন্দ করে থাকেন। আর যে ব্যক্তি হালাল
পথে থাকবে ওর জন্য রয়েছে মৃত্যুর পরে চিরশান্তির জায়গা জান্নাত।
হারাম শব্দের অর্থ কি
হালাল এবং হারাম এই দুটির মধ্যে পার্থক্য রয়েছে হারাম শব্দের অর্থ হলো নিষিদ্ধ, অবৈধ এবং মন্দ। আপনি যদি আল্লাহর নিষিদ্ধ কোন কাজ করেন তাহলে সেটা হারাম ভাবে। ইসলামে যেসব কাজ করতে নিষেধ করা হয়েছে সেসব কাজ যদি কেউ করে তাহলে সেগুলো হারাম বলে বিবেচিত হয়।
হারাম অনেক কাজ রয়েছে যেমন সুদ খাওয়া, ঘুষ খাওয়া, ঈদের দিন রোজা রাখা, শুকরের মাংস ভক্ষণ করা, জিনা করার, অন্য কারো সাথে কোন রকম অন্যায় মূলক কাজ করার, বাবা-মাকে কষ্ট দেওয়া এছাড়া আরো ইত্যাদি অনেক কাজ রয়েছে এগুলো মূলত হারাম।
যদি হারাম কাজ করে এবং হারাম খাবার খায় তাহলে এটা তার স্বাস্থ্যের এবং তার সব
কিছু দিক দিয়ে খারাপ হবে। আর দুনিয়াতে অতিরিক্ত হারাম কাজ করার ফলে
মৃত্যুর পরে পেতে হবে কঠিন শাস্তির জায়গা জাহান্নাম।
হারাম বর্জনীয় কেন
হারাম বর্জনীয় কেন এটা অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন হারাম বর্জনীয় হওয়ার কারণ হলো মহান আল্লাহ হারাম পছন্দ করেন না আর হারাম কোনো কাজ করলে এবং হারাম খাবার খেলে সেটা কবিরা গুনাহ হয়।
কবিরা গুনাহ হলো এমন একটি গুনাহ যেটা করলে সেই ব্যক্তির শাস্তি হিসেবে জাহান্নাম পেতে হতে পারে। আর কবিরা গুনাহ তওবা করা ছাড়া মহান আল্লাহ ক্ষমা করেন না সেজন্য হারাম মুসলমানদের জন্য বর্জনীয়। যদি জানার ও বোঝার পরেও হারাম কাজ করেন এবং হারাম খাবার খান তাহলে আপনাকে অবশ্যই জাহান্নামে যেতে হবে।
হালাল উপার্জন কাকে বলে
হালাল উপার্জন হল বৈধ এবং ন্যায্য পদে শ্রম দিয়ে অর্থ আয় করা। আর এই হালাল উপার্জন করা একজন মুসলমানের জন্য ফরজ একটি কাজ। এবং হালাল উপার্জনের মাধ্যমে জীবন পরিচালনা করলে সেই ব্যক্তির উপর আল্লাহর ভালোবাসা থাকে। হালাল উপার্জন হল যেগুলো কাজ নিজের শরীরের শক্তি মেধা খাটিয়ে করতে হয় এবং এগুলো কাজ আল্লাহ নিষিদ্ধ করেননি সেগুলো কাজ করে টাকা ইনকাম করা হলো হালাল উপার্জন।
আরো পড়ুনঃ ফরজ গোসল কখন করতে হয় - কতটুকু বীর্য বের হলে গোসল ফরজ হয়
অনেকেই অনেক ভাবে টাকা ইনকাম করেন এবং মনে করে থাকেন এগুলো হালাল আসলে কেউ যদি
সুদের টাকা ইনকাম করে, ঘুষের টাকা ইনকাম করে, চুরি ডাকাতি এবং ছিনতাই করে
অর্থ ইনকাম করে তাহলে সেগুলো একেবারেই হারাম। তাহলে আশা করছি বুঝতে পারলেন
হালাল উপার্জন কাকে বলে এবং কোনগুলো হালাল উপার্জন এবং হারাম
উপার্জন। আমাদের সকলের উচিত হালাল উপার্জন করা।
হারাম খাবার কি কি
আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন রকম খাবার খেয়ে থাকি। কিন্তু এর মধ্যে কোনটা হারাম এবং
কোনটা হালাল তা অনেকেরই ভালো করে জানা নেই। এমন অনেক খাবার রয়েছে যেগুলো
আমাদের জন্য একেবারে হারাম। যদি এগুলো খাবার খান তাহলে সেগুলো আপনার জন্য
হারাম হবে। আর হারাম মানে কবিরা গুনাহ। হারাম খাবার গুলো কি কি জেনে
রাখুন।
১। দাঁত বিশিষ্ট হিংস্র সকল প্রাণীর মাংস খাওয়া হারাম যেমন বাঘ সিংহ কুকুর বিড়াল শিয়াল কচ্ছপ বানর হাতি চিতাবাঘ সজারু ইত্যাদি।
২। যারা নক দিয়ে স্বীকার করে এবং হিংস্র পাখি জাতীয় প্রাণী সেগুলো খাওয়া হারাম যেমন ঈগল পেঁচা বাজ পাখি শকুন কাক ইত্যাদি।
৩। কিছু ছোট ছোট হিংস্র বিষাক্ত প্রাণী রয়েছে সেগুলো খাওয়া হারাম যেমন সাপ টিকটিকি ইঁদুর কচ্ছপ বিচ্ছু ইত্যাদি।
৪। এছাড়া আরো কিছু হারাম খাবার হল মৃত কোন পশু পাখির মাংস খাওয়া কোন পশু পাখি জবাই করার সময় আল্লাহর নাম না নেওয়া। এছাড়াও যত নেশা জাতীয় খাবার রয়েছে বা পানিও রয়েছে সবগুলোই হারাম।
কোন কোন মাছ খাওয়া হারাম
অনেকের ভেতর নিয়ে প্রশ্নটি অনেক বেশি জাগে সেটা হল কোন কোন মাছ খাওয়া হারাম। আসলে মাসে এমন একটি জিনিস যেটা মৃত অবস্থায় খেলেও সেটা হালাল। আপনি খেয়াল করে দেখবেন অন্য যে কোন প্রাণী যদি মৃত্যু হয় তাহলে সেটা খাওয়া একদম হারাম কিন্তু মাছের বেলায় মৃত হওয়ার পরেও এটা হালাল।
তো আপনার প্রশ্নটি হল কোন কোন মাছ খাওয়া হারাম পৃথিবীতে এমন কোন মাছ নেই যেটা খাওয়া হারাম বলে ঘোষণা করা হয়েছে। তাই কোন মাছ খাওয়াই হারাম নয়। তবে কোন ব্যক্তি যদি মৃত মাছ খায় তাহলে সেটা মাকরূহ হবে।
আরো পড়ুনঃ ঘুমানোর দোয়া বাংলা অর্থসহ - ঘুম থেকে উঠার দোয়া বাংলায়
মাকরুহ অর্থ হলো সেই জিনিস হালাল না এবং হারাম ও না। অর্থাৎ মাকরূহ কোন কিছু খেলে সেটার জন্য পাপ হবে না আবার পূর্ণ হবে না। তাহলে আশা করছি আপনার একটা ধারণা পেয়ে গেলেন কোন কোন মাছ খাওয়া হারাম এই সম্পর্কে।
হারাম খাবারের কোড তালিকা
হারাম খাবারের কোড তালিকা রয়েছে যা অনেকেই জানে না। জাতিসংঘের খাদ্য এবং কৃষি সংস্থা এগুলো খাবারের কোড তালিকা প্রকাশ করেছেন। ও নিচের অংশ থেকে আপনারা জেনে নিন হারাম খাবারের কোড তালিকা গুলো।
- e633,e920,e634, e904, e640
- e111, e116g, e120, e161b, e140
- e951, e1209, e921, e999, e1203, e1105
- e485, e632, e441, e630, e161i, e431
- e252, e1519, e161j, e1510
এগুলোই হলো হারাম খাবারের কোড। এছাড়া অনেক হালাল খাবারের কোড রয়েছে। আশা করছি আপনারা ক্লিয়ার ভাবে জানতে পেরেছেন হারাম খাবারের কোড তালিকা গুলোও সম্পর্কে।
হালাল শব্দের অর্থ কি - হারাম শব্দের অর্থ কিঃ শেষ কথা
হালাল শব্দের অর্থ কি হারাম শব্দের অর্থ কি হারাম বর্জনীয় কেন হালাল উপার্জন কাকে বলে হারাম খাবার কি কি কোন মাছ খাওয়া হারাম এই সকল বিষয়ে আজকে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করেছি।
তো আশা করছি আপনারা সকল বিষয়ে ভালোভাবে জানতে পেরেছেন। তাই এখন থেকে আপনারা হালাল হারাম বিবেচনা করে সকল কাজ করবেন। আর আমাদের ওয়েবসাইট এরকম আরো নতুন নতুন তথ্য পেতে নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন। সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url