ফরজ গোসল কখন করতে হয় - কতটুকু বীর্য বের হলে গোসল ফরজ হয়
বন্ধুরা আর দেরি না করে চলুন আজকের আর্টিকেলের নিচের অংশগুলো বিস্তারিত ভাবে জেনে নেয়া যাক ফরজ গোসল কখন করতে হয় এবং কতটুকু বীর্য বের হলে গোসল ফরজ হয় পুরোপুরি বিষয় বিস্তারিত জানার জন্য শেষ পর্যন্ত আর্টিকেলটি পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ ফরজ গোসল কখন করতে হয় - কতটুকু বীর্য বের হলে গোসল ফরজ হয়
- ফরজ গোসল কখন করতে হয়
- কতটুকু বীর্য বের হলে গোসল ফরজ হয়
- মেয়েদের কখন গোসল ফরজ হয়
- ফরজ গোসল দেরিতে করা যাবে কিনা
- কখন গোসল ফরজ হয় না
- মেয়েদের ফরজ গোসলের নিয়ম
- গোসল ফরজ কয়টি
- গোসলের ফরজ দোয়া
- ফরজ গোসল কখন করতে হয় - কতটুকু বীর্য বের হলে গোসল ফরজ হয়ঃ শেষ কথা
ফরজ গোসল কখন করতে হয়
সুস্থতা বা অসুস্থতা যেটাই হোক না কেন আমাদের প্রতিদিনই গোসল করতে হয় কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা যে ফরজ গোসল কখন করতে হয় তো আপনি যদি ফরজ গোসল কখন করতে হয় ।
- আপনি যদি আপনার স্ত্রী সাথে মেলামেশা করেন তাহলে
- রাতে ঘুমানোর সময় আপনার স্বপ্নদোষ হলে
- হায়েজ নেফাস থেকে মুক্ত হলে
আপনি যদি আপনার স্ত্রীর সাথে মেলামেশা করেন তাহলে
আপনি যদি আপনার স্ত্রীর সাথে সহবাস করেন তাহলে উভয়পক্ষে দুজনকেই গোসল করতে হবে সহবাসে পর যদি কৌশল করেন তাহলে এটা ফরজ।
রাতে ঘুমানোর সময় আপনার যদি স্বপ্নদোষ হয় তাহলে
আপনি যদি রাতে ঘুমানোর সময় বা দিনে যখনই হোক অর্থাৎ ঘুমানোর সময় বা জেগে থাকার সময় শারীরিক উত্তেজনা কারণে স্বপ্নদোষ হয় অর্থাৎ বীর্যপাত হয় তাহলে আপনাকে গোসল করতে হবে এ গোসলটি ফরজ গোসল।
হায়েজ নেফাস থেকে মুক্ত হলে
কোন মেয়ে যদি মাসিক বন্ধ হয়ে যায় এবং এর সাথে যদি কোন নারীর সন্তান প্রসব হওয়ার পর রক্ত বন্ধ হয়ে যায় তাহলে ইসলামী নিয়মে গোসল করা ফরজ। এবং সেই নারীর যতদিন রক্ত বন্ধ না হবে সেতদিন অব্দি ওই মেয়েটি নাপাক বা অপবিত্র থাকবে।
কতটুকু বীর্য বের হলে গোসল ফরজ হয়
আমাদের বিভিন্ন শারীরিক উত্তেজনার কারণে বীর্য বের হয়ে থাকে তো এর মধ্যে আমরা অনেকেই জানিনা যে কতটুকু বীর্য বের হলে গোসল ফরজ হয় আপনি যদি স্ত্রীর সাথে সহবাস করার ক্ষেত্রে যে বীর্য বের হয় সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই গোসল করতে হবে এ বছরটি ফরজ এ ছাড়া অনেক সময় উত্তেজনা মূলক কথা বলার জন্য হালকা বীর্য বের হয়ে থাকে এক্ষেত্রে আপনাকে সুন্দর ভাবে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললেও হবে।
আরো পড়ুনঃ বুকের দুধ বৃদ্ধির ১০ টি ঘরোয়া উপায় - বুকের দুধ শুকিয়ে যায় কেন
তবে আপনি যদি মনে করেন তাহলে গোসল করতে পারেন এক্ষেত্রে কোন পাপ হবে না এছাড়া অনেকের অনেক সময় ফরজ গোসল করা পরেও হালকা করে বীর্য বের হয় সেটা কোনভাবে ভিতরে আটকে থাকা বীর্য এক্ষেত্রে পুনরায় গোসল করা ওয়াজিব নয় এক্ষেত্রে ভালোভাবে ধুয়ে ওযু করলেই আপনি নাপাক হয়ে যাবেন।
মেয়েদের কখন গোসল ফরজ হয়
অনেক মেয়ে ভালো কিংবা খারাপ যেকোনো কাজ করার পরে গোসল করে কিন্তু মেয়েদের কখন গোসল ফরজ হয় এ বিষয়ে জানেনা যার কারণে গোসল করা তাদের পক্ষে হারাম হয়ে দাঁড়ায়।
১। যোনিতে পুরুষাঙ্গ প্রবেশ করালেই এক্ষেত্রে বীর্যপাত হোক না হোক
২। স্বামীর সাথে সহবাস ভাব মেলামেশা করলে
৩। মাসিক শেষ হওয়ার পর
গোসল ফরজ হওয়ার সাথে সাথে গোসল না করে কোন ভাবেই থাকা যাবে না এছাড়া কারণ বসত বিলম্ব করা যাবে, তবে সব ক্ষেত্রেই নয় । এক্ষেত্রে যে কোন ইসলামিক ইবাদত করা হারাম।
ফরজ গোসল দেরিতে করা যাবে কিনা
যে কোন অপবিত্রতা থেকে পবিত্র হওয়ার জন্য ওযু করা ফরজ তবে পুরুষ এবং নারী গোপন কিছু কাজ করলে সেক্ষেত্রে গোসল করতে হবে। পেশাব পায়খানা এসব জাতীয় অপবিত্রতা পবিত্র হওয়ার জন্য ওযু করা যথেষ্ট ফরজ গোসল দেরিতে করা করা যাবে তবে সব ক্ষেত্রে নয় আপনি যদি স্ত্রীর সাথে সহবাস করেন তাহলে সাথে সাথে গোসল করা ফরজ এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই দেরি করা যাবে না এবং অন্যান্য ফরজ গোসল দিতে করা যায়।
কখন গোসল ফরজ হয় না
আমরা তো সবাই গোসল করে থাকি কিন্তু অনেকে জানিনা কখন কখন গোসল ফরজ হয় না আমরা গোসলের ফরজ না জানার কারণে যেকোনো সময় করে ফেলি।
১। আমরা প্রতিদিন যে গোসল করি সেটা ফরজ গোসল নয় সে গোসলটি সুন্নত।
২। দুই ঈদের নামাজের জন্য যে গোসল করি সে গোসলটি ফরজ নয় এই গোসল টি হল সুন্নত।
৩। আমরা জুম্মার নামাজের জন্য যে গোসলটি করি এ গোসলটি ফরজ নয় এ গজলটি হল সুন্নত।
৪। হাজী সাহেবদের জন্য আরাফাই অবস্থানকালে কি গোসলটি করা হয় সে গোসলটি ফরজ নয়। এই গোসলটিও সুন্নত।
মেয়েদের ফরজ গোসলের নিয়ম
অনেক মেয়েদের ইসলামের জ্ঞান না থাকার কারণে গোসলের নিয়ম জানেনা আর না জানার কারণে ওই অবস্থায় গোসল করে ফেলে সেজন্য তার শরীর অপবিত্রতা থেকে যায় এবং সে অবস্থায় ইবাদত করে যা ইসলামের জন্য হারাম তাই আমাদের এ বিষয়ে সচেতন হওয়া উচিত।
আরো করুনঃ অধিক সময় সহবাসের উপায় এবং অধিক সময় সহবাসের দোয়া
- মেয়েদের গোসলের ফরজ তিনটি
- মেয়েদের যে যে কারণে ফরজ গোসল করতে হবে
- মেয়েদের ফরজ গোসলের সুন্নতি তারিকা
মেয়েদের গোসলের ফরজ তিনটি
১। নাকে পানি দেওয়া ।
২। ভালোভাবে কুলি করা ।
৩। সমস্ত শরীর ধৌত করা ।
মেয়েদের যে যে কারণে ফরজ গোসল করতে হবে
১। যোনিতে পুরুষাঙ্গ প্রবেশ করালেই এক্ষেত্রে বীর্যপাত হোক না হোক ।
২। স্বামীর সাথে সহবাস ভাব মেলামেশা করলে।
৩। মাসিক শেষ হওয়ার পর ।
মেয়েদের ফরজ গোসলের সুন্নতি তারিকা
১। বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম বলে গোসল করা শুরু করা ।
২। তারপর নিয়ত করতে হবে যে আমি অপবিত্রতা থেকে পবিত্র হওয়ার জন্য ফরজ গোসল করতেছি ।
৩। ডান ডান কাঁদে তিনবার পানি ঢালতে হবে ।
৪। বাম কাঁধে তিনবার পানি ঢালতে হবে ।
৫। ওযু করার পর তিনবার পানি ঢালতে হবে ।
গোসল ফরজ কয়টি
আমরা তো অনেকেই ফরজ গোসল করে থাকি কিন্তু সবাই কি জানি গোসল ফরজ কয়টি অবশ্যই সবাই জানে না তো চলুন গোসল ফরজ কয়টি জেনে নেয়া যাক।
গোসল ফরজ তিনটি
১। নাকে পানি দেওয়া
২। ভালোভাবে কুলি করা
৩। সমস্ত শরীর ধৌত করা
গোসলের ফরজ দোয়া
অনেক সময় অনেক কাজের ক্ষেত্রে আমাদের ফরজ গোসল করতে হয় তবে এর মধ্যে অনেকেই ফরজ গোসলের দোয়া জানেনা তাই গোসলের ফরজ দোয়া কি জেনে নিন।
আরো পড়ুনঃ রোজা রাখার নিয়ত বাংলায় - ২০২৪ সালের রোজা কত তারিখ থেকে শুরু
আরবি উচ্চারণঃ لا تنسى أن تكون في عداد المفقودين.
বাংলা উচ্চারণঃ নাওয়াইতুল গুছলা লিরাফইল জানাবা-তি।
ফরজ গোসল কখন করতে হয় - কতটুকু বীর্য বের হলে গোসল ফরজ হয়ঃ শেষ কথা
বন্ধুরা আজকের আর্টিকেলে আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করছি ফরজ গোসল কখন করতে হয় এবং কতটুকু বীর্য বের হলে গোসল ফরজ হয় মেয়েদের কখন গোসল ফরজ হয় ফরজ গোসল দেরিতে করা যাবে কিনা কখন গোসল ফরজ হয় না মেয়েদের ফরজ গোসলের নিয়ম গোসল ফরজ কয়টি গোসলের ফরজ দোয়া
আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলটি পরে আপনার ফরজ গোসল কখন করতে হয় এবং কতটুকু বীর্য বের হলে গোসল ফরজ হয় জানতে ও বুঝতে কোন সমস্যায় পড়তে হবে না এরপরও যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাতে পারেন এ সকল আর্টিকেল নিয়মিত পাওয়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url