বমি বন্ধ করার দোয়া - বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার ঔষধ

বমি বন্ধ করার দোয়া ও বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার ঔষধ গুলো কি অনেকে জানতে চাই তাই আজকের এই আর্টিকেল থেকে জানতে পারবেন এ সকল বিস্তারিত তথ্য । এছাড়া আরো জানতে পারবেন ছোট বাচ্চাদের বিভিন্ন কারণে বমি হয়ে থাকে সেজন্য তারা অনেক কষ্ট পায় ।
বমি বন্ধ করার দোয়া
তাই আপনার বাচ্চার যদি কোন কারনে বমি হয়ে থাকে তাহলে দ্রুত বমি করা থামাতে হবে । কিন্তু মূল কথা হচ্ছে কিভাবে বমি করা ভালো করতে হয় সেটা আমরা কেউ জানি না তাই চলুন সে বিষয়টা নিচের অংশ থেকে জেনে নেয়া যাক ।

পোস্ট সূচিপত্র ঃ বমি বন্ধ করার দোয়া - বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার ঔষধ 

বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার ঘরোয়া উপায়

আজকে এই অংশে আমরা জানবো বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার ঘরোয়া উপায় । যদি আপনার বাচ্চা অল্প পরিমাণ বমি হয়ে থাকে তাহলে আপনার বাচ্চার ক্ষেত্রে অনেকটাই ভালো । কারণ অল্প পরিমাণ বমি হওয়ার ক্ষেত্রে বাচ্চার শরীরে থাকা টাক্সিন এবং শরীরে থাকা জীবাণু বমির মাধ্যমে বের হয়ে আসে । এছাড়া বাচ্চা যদি অনেক বেশি বমি হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে অনেক ক্ষতিকর। সেজন্য বাচ্চার বমি বন্ধ করার কিছু ঘরোয়া উপায় জানুন ।

১.যখন বাচ্চার বমি হবে তখন বাচ্চার বমি বন্ধ করার জন্য লেবু অনেক কার্যকরী । তাই বাচ্চার বমি বন্ধ করার জন্য আপনি লেবু মাঝখান দিয়ে কেটে সেটা বাচ্চা নাকের কাছে নিয়ে যাবেন তারপর -বাচ্চাকে হালকা শুজ্ঞাবেন তাহলে বাচ্চার বমি হওয়া বন্ধ হয়ে যাবে । তবে কোনভাবেই বাচ্চাকে লেবু খাবেন না ।

২.বাচ্চা বমি বন্ধ হওয়ার ক্ষেত্রে আপনি লেবুর পাতাও শুজ্ঞাতে পারেন অনেক সময় লেবু থাকে না তার ক্ষেত্রে লেবুর পাতা শুজ্ঞাতে পারেন । তবে বমি বন্ধ হওয়ার ক্ষেত্রে লেবু বেশি কার্যকরী হয়ে থাকে ।

৩.বাচ্চার অতিরিক্ত বমি হওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সময় দেখা যায় পানি শূন্যতা তখন আপনি স্যালাইন খাওয়াতে পারেন এতে পানি শূন্যতা পূরণ হয়ে যাবে । তাছাড়া বমি বন্ধ হওয়ার জন্য হালকা পরিমাণ স্যালাইন খাওয়াতে পারেন এটা অনেক উপকার করে ।

আরো পড়ুন ঃ গর্ভাবস্থায় আখরোট খাওয়ার ১২ টি উপকারিতা

৪.বই বন্ধ করার জন্য জিরা খেতে পারেন । জিরা বমি বন্ধ করার ক্ষেত্রে অনেক দ্রুত কাজ করে থাকে, এছাড়া গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকলে এবং হজম শক্তির সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে ।

৫.অতিরিক্ত বমি হলে ভাতের মাড় খেতে পারেন এটা অনেক কার্যকরী । আপনার বাচ্চা যদি অতিরিক্ত বমি হয় তাহলে আপনি ভাতের মাড় খাওয়াতে পারেন তবে ভাত রান্নার ক্ষেত্রে যখন ভাতের মাড় বের হয় সে সময় আলাদা করে রেখে দিবেন এবং হালকা ঠান্ডা হওয়ার পর সেটা খাবেন ।

৬.অনেক সময় অতিরিক্ত গরম রাখার ক্ষেত্রে বমি হয়ে থাকে আপনার বাচ্চার ক্ষেত্রে যদি এরকম হয় তাহলে গরম জায়গা থেকে ঠান্ডা কোন জায়গায় বাচ্চাটি রাখুন এবং আপনার বাচ্চা যদি হালকা বড় হয় তাহলে গোসল করিয়ে দিন ইনশাল্লাহ বমি হওয়া বন্ধ হয়ে যাবে ।

৭.বাচ্চাদের অনেক সময় মায়ের বুকের দুধ খেতে থাকে ওই সময় যদি বমি হয় তাহলে কোন সময় দুধ থেকে মুখ সরাবেন না এবং কিছুক্ষণ পর পর ঘন ঘন দুধ খাওয়াবেন এতে বাচ্চার তরলের যে পরিমাণ চাহিদা ছিল সেটি মিটিয়ে যাবে । এছাড়া এটি ভূমি বন্ধ করার জন্য খুবই কার্যকরী ।

৮.বমিবন্ধ করার আরেকটি ঘরোয়া উপায় হল আদার রস । আপনার বাচ্চার যদি বমি বন্ধ না হয় তাহলে আদার রস খাওয়াতে পারেন যদি শুধু আদা রস না খেতে পারে তাহলে মিষ্টি হওয়ার জন্য হালকা পরিমাণ মধু  দিয়ে খাওয়াতে পারেন ।

৯.বাচ্চাদের অতিরিক্ত বমি হওয়ার ক্ষেত্রে শরীর অনেকটা দুর্বল হয়ে যায় যার কারণে আরো বেশি বমি হতে পারে এরকম যদি হয় তাহলে বাচ্চাকে তরল জাতীয় খাবার খাইয়ে দিবেন ।

১০.বাচ্চাদের দ্রুত বমি বন্ধ করার উপায় হল পুদিনার পাতার রস । পুদিনা পাতা ভালোভাবে পিছে নেবেন এরপর সে রসটি খাওয়াবেন। যদি খালি পুদিনার পাতার রস না খেতে পারে তাহলে পুদিনা পাতার রসের সাথে হালকা পরিমাণ মধু মিশাতে পারেন ।

১১.তুমি বন্ধ কর আরেকটি ঘরোয়া উপায় হচ্ছে ধীরে ধীরে শ্বাস নেয়ার অভ্যাস কারা বমি করার সময় শ্বাস নিতে পারলে বমি বন্ধ হয়ে যায় ।

১২.যখন অতিরিক্ত বমি হবে আর যদি বমি বন্ধ না হয় তাহলে সে সময় আপনার হাতের আঙ্গুল দিয়ে পেটের লায় চেপে ধরে রাখবেন তাহলে দেখবেন আপনার বমি হওয়া বন্ধ হয়ে গেছে এটাও একটি ঘরোয়া উপায় ।

১৩.ভিটামিন B6 সম্পূর্ণ গহন করুন পাইরিডক্সিন নামেই পরিচিত বি 6 এটি গরবস্থায় সাথে সম্পর্কিত যার কারনে বমি বমি ভাব এবং তুমি বন্ধ করতে সাহায্য করে ।

১৪.আপনার ডায়েট পরিবর্তন করুন । সচেতনতার এবং খাবার পরিহার যাব বমি বমি ভাব সৃষ্টি করে এবং সেটা প্রতিরোধ অতি সহায়তা করে । এছাড়া সহজে হজম শক্তি বাড়িয়ে তোলে যার মাধ্যমে বিভিন্ন খাবার দ্রুত হজম হয়ে যায় যেমন - কলা সাদা ভাত মিষ্টি ইত্যাদি ।

১৫.ধনেপাতাও পেট খারাপের জন্য বেশ উপকারী তবে পেট খারাপই নয়। আপনার বমি বমি ভাব দূর করবে এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করবে । এর সাথে দারচিনি খেতে পারেন দারচিনী বমি বন্ধ করতে অনেক টাই সাহায্য করে ।

১৬.ছোট বাচ্চার অনেক সময় বাতাস লেগে বমি হয়। আপনার বাচ্চার যদি বাতাস লেগে বমি হয় এক্ষেত্রে আপনার বাচ্চার বমি বন্ধ করার জন্য সরিষার তেল অনেক উপকারী। কিন্তু সরিষার তেল ভালোভাবে বাচ্চার মুখে লাগাতে হবে।

আপনার বাচ্চা যদি বমি বন্ধ না হয় তাহলে এগুলো ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করতে পারে আশা করতেছি এগুলো ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করলে আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার আগে বাচ্চার বমি বন্ধ হয়ে যাবে ।

বমি বন্ধ করার দোয়া

আমাদের পবিত্র কোরআনের মাধ্যমে সব ধরনের রোগের চিকিৎসা হয়ে থাকে । এছাড়া অনেকগুলো দোয়া রয়েছে যেগুলো দোয়া পাঠ করে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় । কিছু কিছু সময় ছোট বাচ্চারা অতিরিক্ত বমি করে থাকে এরকম যদি হয় তাহলে একটি দোয়া রয়েছে সে দোয়াটি পাঠ করলে বাচ্চার বমি হওয়া বন্ধ হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ ।

আরো পড়ুন ঃ  জিংক 20 ট্যাবলেট এর কাজ কি - জিংক ট্যাবলেট এর দাম কত

আরবি ঃ اللهمّا ربّنسي أزهيبيل باسا واشفيل كاربا واشفين من عزب يا رحمانو يا رحيم 

বাংলা উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা রাব্বান্নাসি আযহিবিল বা'সা ওয়াশফিল কার্বা ওয়াশফিন মিনাল আযাব ইয়া রহমানু ইয়া রাহিম 

অর্থ ঃ হে সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ তায়ালা , সব রকমের রোগ দূর করে দিন, সব দুঃখ দূর করে দিন এবং সব যন্ত্রণা থেকে মুক্তি করে দিন । হে দয়ালু ময় পরম দয়ালু ।

বমি বন্ধ করার দোয়া টি যেভাবে ব্যবহার করবেন

  • আমি বন্ধ করার দোয়াটি পাঠ করার জন্য আপনাকে অবশ্যই পরিষ্কার থাকতে হবে এবং পবিত্র হতে হবে ।
  • সর্বপ্রথম অজু করে পবিত্র হতে হবে
  • সুরা ফাতেহা এবং সূরা ইখলাস পাঠ করবেন
  • বাচ্চার মাথায় হাত দিয়ে সুষ্ঠ ভাবে উপরোক্ত দোয়াতে সাতবার পড়ে পুরো শরীরে ফু দিবেন
  • খুব মনোযোগ সহকারে এই দোয়াটি পাঠ করবেন

বাচ্চাদের বমি হলে কি খাওয়া উচিত 

বড়দের থেকে ছোট বাচ্চাদের হজম শক্তি অনেকটাই কম হয়ে থাকে ,যার কারণে বাড়ি কোন খাবার খেলে সেটা দ্রুত হজম হতে পারে না । তাই ছোট বাচ্চাদের বমি হওয়ার সেই সময় শরীর থেকে অনেক পরিমান পানি বের হয়ে যায় যার কারণে বাচ্চার শরীর অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে । আর সে সময় অনেক বাচ্চার বমি হতে পারে এ সময় যদি বমি হয় তাহলে বাচ্চাকে তরল জাতীয় খাবার খাওয়াতে হবে ।

কারণ বাচ্চাদের শরীর থেকে যেটুকু পরিমাণ তরল বমির মাধ্যমে বের হয়ে গেছে সে পরিমাণ তরল হচ্ছে শরীরের ঘাটতি যাদের পূরণ হয় । যদি বমি হওয়ার পরে এবং সাথে সাথে বাচ্চা মায়ের বুকের দুধ খেতে থাকে তাহলে দুধ খাওয়া ভুলেতেও বন্ধ করবেন না দুধ খাওয়াতে থাকবেন। এছাড়া যদি খাবার স্যালাইন থাকে সে স্যালানটি খাওয়াতে পারেন ।

তারপরেও তরল জাতীয় খাবার এবং যে খাবারটি বাচ্চার দ্রুত হজম করতে পারবে এবং যেগুলো খাবার খেলে কোন ক্ষতি হবে না সে খাবার গুলো খাওয়াতে পারেন। আর কোন সময় যেগুলো খাবার হজম হতে দেরি হয় এবং হজম হতে চায়না এছাড়া সপ্ত জাতীয় খাবার খাবেন না যে সময় বাচ্চার অতিরিক্ত বমি হবে ।

আরো পড়ুন ঃ হজম শক্তি বৃদ্ধির 12 টি ঘরোয়া উপায় - হজম শক্তি কমে যাওয়ার ১০ টি লক্ষণ 

তবে বমি বড়দের ক্ষেত্রে খুব একটি ক্ষতিকর রোগ নয় তবে ছোটদের ক্ষেত্রে বমি থেকে অনেক বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে সেজন্য ডাক্তারের চিকিৎসা নিতে পারেন । যদি অতিরিক্ত ঘন ঘন বমি হয় তাহলে আপনার নিজ আয়ত্তরে নিজ স্থানে চিকিৎসকের চিকিৎসা নিয়ে অনেক জরুরী ।

বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার ঔষধ

আপনার ছোট বাচ্চা যদি অতিরিক্ত বমি হয়ে থাকে তাহলে কখনো আগে ওষুধ খাওয়াবেন না , ওষুধ খাওয়ানোর আগে কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে সেগুলো উপায় অবলম্বন করবেন সেগুলো উপায় অবলম্বন করার পরে ডাক্তারের চিকিৎসা নিতে পারেন এবং ওষুধ খাওয়াতে পারেন ।

কিন্তু প্রথম অবস্থায় আমরা অনেকেই ওষুধের নাম জানিনা, যার কারণে আপনাকে জানানো উদ্দেশ্যে কয়েকটি ওষুধের নাম তুলে ধরব যেগুলো ওষুধ আপনার বাচ্চা ভূমি বন্ধ করার জন্য অনেক কাজে দিবে।

  • Periset 4 MG Tablet 
  • Vomihalt 4 MG Tablet
  • Zofer 4 MG Tablet
  • Ondem 4 MG Tablet
  • Ondanbic 4 MG Tablet

আজকের আর্টিকেলে যেগুলো ওষুধের নাম দেয়া রয়েছে সেগুলো সবগুলো ট্যাবলেট এই ওষুধ বমি বন্ধ হওয়ার জন্য খাওয়াতে পারেন। এগুলো ওষুধ বমি বন্ধ হওয়ার জন্য অনেক দ্রুত কাজ করে থাকে , তবে এগুলো ওষুধ খাওয়ার ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাওয়াবেন ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন ধরনের ওষুধ খাওয়াবেন না ।

বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার সিরাপ

বমি বন্ধ হওয়া জন্য দুই রকমের ওষুধ রয়েছে প্রথম আছে ট্যাবলেট দ্বিতীয়তে সিরাপ তবে ছোট বাচ্চা ট্যাবলেট খেতে পারে না এবং খেতে চায় না যার কারণে চিকিৎসক বেশিরভাগ সিরাপ দিয়ে থাকে । বাচ্চাদের বমি বন্ধ হওয়ার জন্য অনেক কয়টা সেরা রয়েছে সেগুলো সিরাপের নাম হল ঃ

  1. Emistat 50 ML Syrup - 50 - tk
  2. Omidon 60 ML Syrup - 40 - tk
  3. Zofra 50 ML Syrup - 50 - tk
  4. Anset 50 ML Syrup - 50 - tk

আজকের আর্টিকেলে যেগুলো সিরাপের নাম দেয়া রয়েছে সেগুলো সবগুলো সিরাপ এই ওষুধ বমি বন্ধ হওয়ার জন্য খাওয়াতে পারেন। এগুলো সিরাপ বমি বন্ধ হওয়ার জন্য অনেক দ্রুত কাজ করে থাকে , তবে এগুলো সিরাপ খাওয়ার ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাওয়াবেন ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন ধরনের সিরাপ খাওয়াবেন না ।

৩ বছরের বাচ্চার বমি

অতিরিক্ত বমি হওয়ার ক্ষেত্রে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে তবে তিন বছরের বাচ্চার বমি হলে কি করতে হবে সেটা আমরা অনেকে জানি না সেজন্য এই অংশে তিন বছরের বাচ্চার বমি হলে করণীয় কি এ বিষয়ে জানব । তিন বছরের বাচ্চা অনেকটাই বড় হয়ে থাকে যার কারণে খুব একটা ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় না তবে আপনার বাচ্চার অতিরিক্ত বমি হলে সর্বপ্রথম বাম কাত করে বিছানায় শোয়াবেন তারপর ভালোভাবে পরিষ্কার করে নেবেন ।

আরো পড়ুন ঃ কালো স্রাব কেন হয় - ঘন সাদা স্রাব কেন হয় 

পরিষ্কার করা হয়ে গেলে সোজা করে শোয়াবেন, তারপর আপনার বাচ্চাকে যে কোন খাবার খাওয়ানোর ২৫ থেকে ৩০ মিনিট আগে বমি বন্ধ হওয়ার ওষুধ খাইয়ে দিবেন । এরপর খাবার খাওয়ানোর ২০ মিনিট পর তিন চামচ পানি খাওয়াবেন । তবে কোন ধরনের শক্ত খাবার হবে না যেগুলো খাবার হজম হতে চায় না সেগুলো খাওয়ার খাওয়াবেন না ।

১ মাসের শিশুর বমি হলে করণীয়

এক মাসের শিশুদের ক্ষেত্রে বমি হলে অনেক বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে যার কারণে এক মাসের শিশুর বমি হলে করণীয় কি সেই বিষয়ে জানতে হবে । অনেক সময় ছোট বাচ্চা বমি অনেক ঘন ঘন হয়ে থাকে এরকম যদি এক মাসের বাচ্চা হয়ে থাকে তাহলে অতি শীঘ্রই চিকিৎসকের চিকিৎসা নিতে হবে । তবে আপনি চাইলে কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে সেগুলো উপায় অবলম্বন করতে পারেন তারপরে চিকিৎসকের চিকিৎসা নিতে পারেন ।

তবে খুব বেশি দেরি করা যাবে না কারণ বমি অতিরিক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে বাচ্চার মুখ দিয়ে রক্ত উঠে যেতে পারে যদি মুখ দিয়ে রক্ত উঠে তাহলে বাচ্চা অন্য বড় ধরনের রোগে আক্রান্ত হতে পারে যার কারণে খুব দ্রুত চিকিৎসা নিতে হবে ।

যেহেতু এক মাসের বাচ্চা সেহেতু  শক্ত খাবার খাবেন না এবং হজম না খাবার খাওয়াবেন না তরল জাতীয় খাবার খাওয়াবেন এবং ঘন ঘন বুকের দুধ খাওয়াবেন । তবে চিকিৎসকের চিকিৎসায় কোন ধরনের ট্যাবলেট খাওয়াবেন না যদি ওষুধ খানার প্রয়োজন পড়ে তাহলে অবশ্যই সিরাপ খাবেন । এতে আপনার বাচ্চা অনেক সুরক্ষিত থাকবে ।

বমি বন্ধ করার দোয়া - বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার ঔষধ শেষ কথা ঃ

বন্ধুরা আশা করতেছি আজকের পুরো আর্টিকেলটি পড়ার পর আপনার বমি বন্ধ করার দোয়া এবং বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার ঔষধ । এরপরে বাচ্চাদের বমি হলে বন্ধ করার জন্য এগুলো ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করতে পারেন ।  এছাড়া  বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার ওষুধ এর নাম কি ?

আরো পড়ুন ঃ গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবে না - গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না 

তবে আপনি এগুলো বিষয়ে জানার পরেও আপনার আরো কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে আমাদেরকে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাতে পারেন । 

আমাদের আজকের এয়ারটেল টি যদি ভালো লাগে তাহলে সেটাও আমাদেরকে জানাতে পারেন । এছাড়া এরকম বিষয়ে নিয়মিত আরো আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন  আল্লাহ হাফেজ ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url