দাঁতের মাড়ি ব্যথা কমানোর ১১ টি ঘরোয়া উপায় - দাঁতের মাড়িতে ঘা হয় কেন

আপনার দাঁতে যদি অতিরিক্ত ব্যথা হয় তাহলে আপনি কোন কিছু খেতে পারবেন না। অনেক সময় মুখের কাছে ভালো খাবার দেখা যায় কিন্তু দাতের ব্যাথার কারণে সেই খাবারটি খাওয়া যায় না। তাই এরকম সমস্যা যদি আপনার ভাই তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য আজকের আর বিকেলে আমরা আলোচনা করব দাঁতের মাড়ি ব্যথা কমানোর ১১ টি ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে।
দাঁতের মাড়ি ব্যথা কমানোর ১১ টি ঘরোয়া উপায়

এছাড়া আমাদের মধ্যে অনেকের দাঁতের মাড়িতে ঘা হয়। তাই আপনার যদি দাঁতের মাড়িতে ঘা হয় তাহলে আজকের আর্টিকেলটি পুরোপুরি পড়ুন আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে দাঁতের মাড়ি ব্যথা কমানোর ১১ টি ঘরোয়া উপায় এবং দাঁতের মাড়িতে ঘা হয় কেন সে সম্পর্কে।

পোস্ট সচিপত্রঃ দাঁতের মাড়ি ব্যথা কমানোর ১১ টি ঘরোয়া উপায় - দাঁতের মাড়িতে ঘা হয় কেন

দাঁতের মাড়িতে ঘা হয় কেন

এখন প্রায় সব মানুষেরই দাঁতের মাড়িতে ঘা হচ্ছে। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে এটি বেশি। এর কারণ কি জানেন ? হয়তোবা জানেন না আবার কেউ কেউ জানে। দাঁতের মাড়িতে ঘা হওয়ার অনেকগুলো কারণ রয়েছে যেমন ঃ ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ডি এর অভাবে, দাঁতের গোড়ার প্রদাহর জন্য। পায়রিয়ার কারণে, মেয়েদের ক্ষেত্রে প্রেগনেন্সির কারণে দাঁতের মাড়িতে ঘা হতে পারে।

আরো পড়ুন ঃ কালো স্রাব কেন হয় - ঘন সাদা স্রাব কেন হয় 

এর আরো লক্ষণ রয়েছে সেগুলো হলো ঃ বিভিন্ন ধরনের ঔষধের পার্শ্ব প্রতিকার কারণে, অথবা আক্কেল দাঁত প্রদাহের কারণ্‌ বিভিন্ন সময় মাড়ির রোগের কারণে দাঁতের মাড়িতে ঘা হতে পারে।

দাঁতের মাড়ি ব্যথা কমানোর ঔষধের নাম

আপনার দাঁতে যদি প্রচন্ড ব্যথা হয় এবং সেগুলো উপরে দেখানো ঘরে উপায় মেনেও যদি দাঁতের মাড়ি ব্যথা না কমে। তাহলে নিচে দেখানো কয়েকটি ওষুধ খেতে পারেন তাহলে আপনার মাড়ির ব্যথা অনেকটা কমে যাবে।

দাঁতের ব্যথা কমাতে যে যে ওষুধ খাবেন ঃ

১। Etorix 90 mg।

২। Sefromax 500।

৩। Cavic C Plus ।

৪।Vonocab 20 mg ।

সতর্কতা ঃএই ঔষধ গুলো স্মরণ করার পূর্বে অথবা আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে এই ওষুধগুলো স্মরণ করবেন। এই ঔষধ গুলো ছোটদের ক্ষেত্রে এবং বড়দের ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা বা ভিন্ন হতে পারে। তাই অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ঔষধ গুলো স্মরণ করবেন ।

দাঁতের মাড়ি শক্ত করার উপায়

আমাদের মধ্যে অনেকেরই দাঁতের মাড়ি অনেক দুর্বল হয়ে গেছে। সেটির কারণ অনেকে এন্ড এক্সিডেন্ট সংযুক্ত টুথপেস্ট ব্যবহার করা অথবা মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করা। এগুলো ব্যবহার করলে দাঁত অনেক দুর্বল হয়ে যাই। তাই আমরা চেষ্টা করব এগুলো ব্যবহার থেকে দূরে থাকা।

যে যে উপায় আমরা দাঁতের মাড়ি শক্ত করতে পারি -

১। শাক-সবজি খাওয়া ঃ

শাকসবজি আমাদের শরীরের অনেক উপকার করে শাকসবজিতে অনেক পরিমাণ ভিটামিন এবং মিনারেল রয়েছে। আপনি যদি প্রতিনিয়ত সবুজ শাকসবজি খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার দাঁতের মাড়িস অনেক শক্ত হয়ে যাবে। শাক সবজির পাশাপাশি আপনি ফলমূলক খেতে পারেন এগুলো আপনার দাঁতকে আরো শক্ত ও সচেষ্ট করে তুলবে।

২। কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়া ঃ

পেঁয়াজের রয়েছে সালফার যা আমাদের দাঁতের গব্বর কে সতেজ করে এবং তাদের অনেক জীবাণু ও রোগ ধ্বংস করে দেয়। আমরা যদি প্রতিনিয়ত পেঁয়াজ খাই তাহলে আমাদের দাঁত অনেক শক্ত হয়ে উঠবে। 

আরো পড়ুন ঃ ফরজ গোসল কখন করতে হয় - কতটুকু বীর্য বের হলে গোসল ফরজ হয়

পেয়াজ অনেক ভাবে খাওয়া যেতে পারে যেমন আমরা প্রতিদিনই তরকারিতে দিয়ে খাই এবং মুড়িতে দিয়ে খাই।বলতে গেলে আমাদের জীবনের প্রায় প্রত্যেকটি খাবারে আমরা পেঁয়াজ খেয়ে থাকি। তাই আপনারা যদি বেশি বেশি পেঁয়াজ খান তাহলে আপনাদের দাতের অনেক শক্তিশালী হয়ে উঠবে এবং শক্ত হয়ে উঠবে।

কোন ভিটামিনের অভাবে দাঁতের মাড়ি ফুলে যায়

দাঁতের মাড়ির ফলার অন্যতম কারণ হলো শরীর থেকে ভিটামিন কোন যায়। আপনার শরীর যদি ভিটামিন কমে যায় তাহলে দেখবেন আপনার দাঁতের মাড়ি অথবা দাঁতের গোড়া ব্যাথা করছে। আপনার শরীরের যদি আবার ভিটামিন ফিরিয়ে আনতে পারেন তাহলে আপনার দাঁতের মাড়ি ফুলে যাওয়া থেকে অনেকটাই আরাম পাবেন। যে যে ভিটামিনের কারণে দাঁতের মাড়ি ফুলে যায় ঃ

১। ভিটামিন সি।

২। ভিটামিন বি কমপ্লেক্স

৩। এবং, ভিটামিন এ।

মূলত এই কয়েকটি ভিটামিন আপনার শরীর থেকে যদি চলে যায় বা কমে যায় তাহলে আপনার দাঁতের মাড়ি ফুলে যাবে অথবা খুবই ব্যথা করবে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কত তাড়াতাড়ি আপনার শরীরে এই কয়েকটি ভিটামিন ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবেন । যদি এই ভিটামিন গুলো আপনার শরীরে ফিরে আসে তাহলে আপনার দাঁতের মাড়ির ফলা এবং ব্যাথা কমে যাবে।

দাঁতের মাড়ি ব্যথা কমানোর ১১ টি ঘরোয়া উপায়

দাঁত ও মাড়ির ভিতরের জমে থাকা খাদ্য কণিকা এবং দাঁতের মাড়ির ভিতরে পরিষ্কার না করার জন্য দাঁতের প্রচন্ড ব্যথা হয়। এর মধ্যে কয়েকটি ঘরোয়া উপায় রয়েছে। সেগুলো যদি আপনি মেনে চলতে পারেন তাহলে দেখবেন যে আপনার দাঁতের মাড়ির ব্যথা খুব কমে গেছে।

তাহলে চলুন জেনে নাও যাক দাঁতের মাড়ি ফোলা এবং ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়। নিচে দাঁতের মাড়ি ফোলা এবং ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার ১১ টি ঘরোয়া উপায়গুলো নিচে দেওয়া হল ঃ

১। লবণ এবং পানি ঃ

ঘরোয়া উপায় হিসেবে লবণ এবং পানি অনেক কার্যকরী। লবণ মুখের রোগ জীবাণু ধ্বংস করে দেয়। দাঁতের মাড়ির পোলা এবং ব্যথা কমানোর জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে কুসুম কুসুম এক গ্লাস গরম পানি নিতে হবে। 

এরপর সামান্য পরিমাণে লবণ তার সাথে মিশিয়ে ভালোভাবে কুলি কুচি করুন। এটি দুই থেকে তিন দিন করলে দেখবেন আপনার দাঁতের মাড়ির ফোলা এবং ব্যথা অনেকটা কমে গেছে।

২। পানি এবং লেবু ঃ

লেবুতে রয়েছে ভিটামিন ক্যালসিয়াম এবং পটাশিয়াম। এটি দাঁতের ফোলা অনেকটা কমিয়ে দেয়। এবং দাঁতের ব্যথা দূর করার জন্য অনেক কার্যকরী ও হয়। লেবুর অ্যান্টি এন্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান মুখে দুর্গন্ধ এবং জীবাণু নাশ করে বা দূর করে দেয়।

আরো পড়ুন ঃ  বুকের দুধ বৃদ্ধির ১০ টি ঘরোয়া উপায় - বুকের দুধ শুকিয়ে যায় কেন

সর্বপ্রথম একটি পরিষ্কার গ্লাসে কুসুম কুসুম গরম পানি এবং লেবুর রস মিশিয়ে নিবেন। এরপর কুলিকুচি করতে থাকবেন। তাহলে আপনার ব্যথা এবং মাড়ির খোলা অনেকটাই কমে যাবে। এটি অন্তত দিনে দুই থেকে তিনবার করা প্রয়োজন। তাহলে আপনার দাঁতের ব্যথা এবং মারি ফোলা অনেকটা কমে যাবে

৩। লবঙ্গ ঃ

দাঁতের ব্যথার ঐতিহ্যগত প্রতিকার হিসেবে লবঙ্গ বহু শতাব্দী ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটিতে  একটি প্রাকৃতিক চেতনানাশক এবং এন্টিসেপটিক রয়েছে।

 আপনি একটি লবঙ্গের তেলে ভেজানো তুলোর বল সরাসরি বেদনাদায়ক দাঁতে লাগাতে পারেন বা এর তেল ছেড়ে দেওয়ার জন্য একটি সম্পূর্ণ লবঙ্গ আলতো করে চিবিয়ে খেতে পারেন।উভয় পদ্ধতিই দাঁতের ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করতে পারে।

৪। রসুন ঃ

রসুন তার অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্যের জন্য বিখ্যাত এবং দাঁতের ব্যথা উপশমের জন্য একটি কার্যকর ঘরোয়া প্রতিকার হতে পারেএকটি রসুনের লবঙ্গ গুঁড়ো করে এর প্রাকৃতিক তেল বের করুনতারপর চূর্ণ করা রসুন সরাসরি ব্যথাযুক্ত দাঁতে লাগান ।

গরম পানি দিয়ে আপনার মুখ ধুয়ে ফেলার আগে কয়েক মিনিটের জন্য এটি জায়গায় রেখে দিন।  এটি লক্ষ্য করা গুরুত্বপূর্ণ যে রসুনের একটি শক্তিশালী স্বাদ এবং গন্ধ থাকতে পারে তাই আপনি পরে আপনার মুখটি ভালভাবে ধুয়ে ফেলতে চাইতে পারেন।

৫। পেপারমেন্ট ওটি ব্যাগ ঃ 

পেপারমিন্টে প্রাকৃতিক ব্যথানাশক এবং প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করতে পারে। এই প্রতিকারের জন্য, কয়েক মিনিটের জন্য গরম জলে একটি পিপারমিন্ট টি ব্যাগ ভিজিয়ে রাখুন ।

জল থেকে টি ব্যাগটি সরান এবং এটিকে কিছুটা ঠান্ডা হতে দিন এই উষ্ণ টি ব্যাগটি আক্রান্ত দাঁতের উপরে রাখুন এবং প্রায় ২১ মিনিটের জন্য সেখানে রাখু। পেপারমিন্ট চায়ের প্রশান্তিদায়ক বৈশিষ্ট্য ব্যথা কমাতে সাহায্য করে এবং সাময়িক স্বস্তি প্রদান করে।

৬। বরফ লাগানো ঃ 

আক্রান্ত স্থানে বরফের প্যাক লাগালে সাময়িকভাবে দাঁতের ব্যথা উপশম হয়ে যায়। ঠান্ডা তাপমাত্রা এলাকাটিকে অসাড় করে দেয় এবং ফোলাভাব কমায় এই পদ্ধতির জন্য, একটি পাতলা সুতির কাপড়ে বা তোয়ালে কয়েকটি বরফের টুকরো মুড়ে বেদনাদায়ক দাঁতের কাছে গালের সাথে প্রায় ২০ মিনিট ধরে রাখুন।কয়েক মিনিটের জন্য বিরতি নিন এবং তারপর প্রয়োজন অনুসারে প্রক্রিয়াটি পুনরাবৃত্তি করুন। 

৭। ভ্যানিলা নির্যাস ঃ

ভ্যানিলা নির্যাস একটি  বেকিং উপাদান এবং দাঁতের ব্যথা উপশম করতে পারে। ভ্যানিলার নির্যাসে অ্যালকোহল থাকে যা এলাকাটিকে অসাড় করে দিতে পারে এবং ব্যথা কমাতে পারে। ভ্যানিলার নির্যাসে একটি তুলোর বল বা সোয়াব ভিজিয়ে আক্রান্ত দাঁতে লাগান ।

গরম জল দিয়ে আপনার মুখ ধুয়ে ফেলার আগে কয়েক মিনিটের জন্য এটি জায়গায় রাখুনদাঁতের ব্যথা থেকে সাময়িক উপশমের জন্য আপনি প্রয়োজন অনুসারে এই প্রক্রিয়াটি পুনরাবৃত্তি করতে পারেন।

এতে করে আপনার দাঁতের মাড়ি ব্যথা অনেকটাই কমে যাবে এবং পরবর্তীতে দাঁতের মাড়ি আর কখনোই ব্যথা বা ফুলে যাবে না।

৮। গমের ঘাস ঃ

গমের ঘাসে প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা দাঁতের ব্যথা কমাতে এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে  সাহায্য করে । আপনি তাজা গমের ঘাস চিবাতে পারেন বা মাউথওয়াশ হিসাবে গমের ঘাসের রস ব্যবহার করতে পারেন। থুতু ফেলার আগে আপনার মুখের চারপাশে কিছুক্ষণের জন্য এই বানানটি ঘষুন। দাঁতের ব্যথা উপশমের জন্য দিনে কয়েকবার এই প্রক্রিয়াটি পুনরাবৃত্তি করুন।

৯। পেয়ারা পাতা ঃ

পেয়ারার পাতায় অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেট বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা দাঁতের ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে।মাউথওয়াশ তৈরি করতে তাজা পেয়ারা পাতা চিবিয়ে নিন বা পানিতে ফুটিয়ে নিতে হবে থুতু ফেলার আগে পেয়ারা পাতার মাউথওয়াশ দিয়ে কয়েক মিনিট কুলিকুচি করুন করুন। এটি দাঁতের ব্যথা থেকে সাময়িক উপশম দেয়।

১০। থাইম ঃ

থাইমে অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা দাঁতের ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করতে পারে। এক কাপ কুসুম কুসুম গরম পানিতে পানিতে এক চা চামচ শুকনো থাইম ভেষজ মিশিয়ে থাইম মাউথওয়াশ তৈরি করতে পারেন।

আরো পড়ুন ঃ ২৪ টি ঘরোয়া পদ্ধতিতে প্রেগনেন্সি টেস্ট - সাবান দিয়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট 

মাউথওয়াশ হিসেবে ব্যবহার করার আগে এই মিশ্রণটিকে ঠান্ডা হতে হবে থুতু ফেলার আগে কয়েক মিনিট থাইম মাউথওয়াশ দিয়ে কুলিকুচি করতে থাকুন। এটি দাঁতের ব্যথা থেকে সেই সময়ে মুক্তি দিতে পারে।

১১। দাঁত ব্যথার উদ্ভিদ ঃ

 দাঁত ব্যথা উদ্ভিদ যা  স্পিলানথল নামে একটি প্রাকৃতিক  রয়েছে।আপনি দাঁতের ব্যাথা গাছের পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন বা দাঁতের ব্যাথা গাছের নির্যাস সরাসরি দাঁতে লাগাতে পারেন । এটি অঞ্চলটিকে অসাড় করতে এবং দাঁতের ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।

দাঁতের মাড়ি ফোলা ও ব্যথা কমানোর হোমিওপ্যাথি ওষুধ

১। হেপার সালফ : দাঁতের ব্যথায় ফোড়া বা অধিমাংসের ক্ষেত্রে হেপার সালফ এবং সিলিসিয়া খুব ভালো কাজ করেদন্তশূলের কারণে হওয়া জ্বর এবং কাঁপুনির ক্ষেত্রে হেপার সালফ্‌কে অব্যর্থ ওষুধ মনে করা হয়।
এর ব্যবহার ফোলা ভাব ও ব্যথা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমিয়ে দেয়। অন্যদিকে যদি আপনার মুখ ফুলে যায় দাঁতের মাড়ির প্রদাহের কারণে সিলিসিয়ার ব্যবহার আপনার দাঁতের গোড়ায় অধিমাংসের প্রভাবকে অসাড় করে দিতে সাহায্য করে।

২। মার্ক সল ঃ দন্তশূলের সঙ্গে সঙ্গে লালাস্রাব ও অসম্ভব দুর্গন্ধযুক্ত শ্বাসকে মার্ক সলের একটি ডোজই নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। মাড়ির রক্তক্ষরণ দাঁতের আলগা ভাব এবং শিরশিরানি সবের ক্ষেত্রেই এই ওষুধ অনেক কার্যকারী।

৩।হেক্লা লাভা ঃ তাপের কারণে শিরশিরান যা আপনার দাঁতে ব্যথাকে বাড়িয়ে দিতে পারে তার জন্য ক্যামোমিলা সব থেকে ভালো ওষুধ। এই ওষুধ আপনার মুখের ভেতরের অংশকে অসাড় করে দিলে আপনার গরম বা ঠান্ডা কোনও রকম খাবার বা পানীয় গ্রহণের ক্ষেত্রেই অসুবিধে হবে নআ।

৪। ক্যামো মিলাঃ দাঁতে ব্যথার সঙ্গে সঙ্গে চোয়াল ফুলে গেলে অবশ্যই হেক্লা লাভা ব্যবহার করুন।এটি তৎক্ষণাৎ কাজ করে এবং ব্যথা ও ফোলাকে প্রশমিত করে

৫। স্ট্যাফিসাগ্রিয়া ঃদাঁতে শিরশিরানির ক্ষেত্রে স্ট্যাফিসাগ্রিয়া খুব ভালো কাজ করে।এবং খাবার বা পানীয়ের কারণে তৈরী হওয়া দাঁতে ব্যথার সমস্যার সমাধান করে।মাড়ি থেকে রক্তক্ষরণ বা অতিরিক্ত লালাস্রাবকে নিয়ন্ত্রণ করতেও এই ওষুধ ব্যবহৃত হয়।

৬। প্ল্যানটাগো ঃ দাঁতের ব্যথার জন্য প্ল্যানটাগো ঔষধ অনেক উপকারী। আপনার কাছে যদি প্রচন্ড ব্যথা থাকে তাহলে ওষুধটি ব্যবহার করতে পারেন। এই ওষুধটি দাঁতের ব্যথা কমানোর জন্য সর্ব বেশি ব্যবহার করা হয়েছে। তাই আপনার তাতে যদি বেঁচে থাকে তাহলে ওষুধটি অবশ্য ব্যবহার করবেন ।

সতর্কতা ঃএই ওষুধগুলো ব্যবহার করার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করবেন। তাছাড়া অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ব্যবহার করার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া জরুরী ।

দাঁতের মাড়িতে ঘা হয় কেন - দাঁতের মাড়ি ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় শেষ কথা ঃ

আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি আপনি পুরো পুরি পরে এ অংশে এসেছেন তাই আপনি দাঁতের মাড়ি ব্যথা কমানোর ১১ টি ঘরোয়া উপায় - দাঁতের মাড়িতে ঘা হয় কেন এ সম্পর্কেও সবকিছু তথ্য ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন এরপর যদি কোন জায়গায় বুঝতে সমস্যা অথবা কোন কিছু জানানোর প্রয়োজন হয় তাহলে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

আরো পড়ুন ঃ গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবে না - গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না 

এছাড়া আমাদের এই ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত এরকম তথ্যমূলক পোস্ট আপডেট করা হয় তাই প্রতিনিয়ত নতুন নতুন পোস্ট সবার আগে পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url