কারি পাতা চেনার ৫ টি উপায় - কারি পাতা খাওয়ার নিয়ম
এছাড়া আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনি আরো কিছু বিষয় জানতে পারবেন তার মধ্যে
আরেকটি বিষয় হচ্ছে কারি পাতা খাওয়ার নিয়ম কারি পাতা আমাদের অনেক উপকারে আসে
তাই আপনার উপকারের জন্য সর্বপ্রথম যে বিষয়টি জানা প্রয়োজন সে বিষয়টি হলো কারি
পাতা খাওয়ার নিয়ম।
পোস্ট সূচিপত্রঃ কারি পাতা চেনার ৫ টি উপায় - কারি পাতা খাওয়ার নিয়ম
- কারি পাতা চেনার ৫ টি উপায়
- কারি পাতা খাওয়ার নিয়ম
- কারি পাতার বাংলা নাম
- কারি পাতার আঞ্চলিক নাম কি
- কারি পাতার অন্য নাম
- কারি পাতা বাংলাদেশে কোথায় পাওয়া যায়
- কারি পাতা কি নিম পাতা
- কারি পাতা চেনার ৫ টি উপায় - কারি পাতা খাওয়ার নিয়ম শেষ কথা ঃ
কারি পাতা চেনার ৫ টি উপায়
কারি পাতার গাছ অনেকটা কামিনী ফুলের মত দেখতে হয় তাই ভুল করে এটিকে কামিনী ফুল ভাবা যাবে না। চেনার জন্য এর কিছু বিশেষ গুণাবলী রয়েছে যেমন কারি পাতা অনেকটা মাঝারি আকৃতি হয়ে থাকে। কারি পাতার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে খুব বেশি বড় হয় না আবার খুব বেশি ছোটও না। এর প্রতিটি অনুপত্রকে কিনারা দিয়ে খাঁচ কাটা ভাব থাকে সামনের দিকে সূচালো হয়।কারি পাতা অনেক বেশি ঘ্রাণ যুক্ত হয় বলে এটি রান্নার কাজে ব্যবহার করা হয়।
আরো পড়ুন ঃ ই ক্যাপ 400 এর উপকারিতা ও অপকারিতা - ই ক্যাপ কতদিন খেতে হয়
কারি পাতা গাছও পরিপক্ক হলে ছোট ছোট ফল ধরতে পারে।বিশেষ করে এই ফল কাঁচা অবস্থায় সবুজ রং ধারণ করে এবং পাকা অবস্থায় ধীরে ধীরে লালচে থেকে কালো হতে থাকে। আপনার শরীরের কোথাও যদি বিষাক্ত কোন পোকামাকড় কামড় দিয়ে ফেলে, তাহলে এই কারি পাতাকে ব্যবহার করলে অনেক দ্রুত উপকার পাওয়া যায়।
এই কারি পাতা চেনার আরো অনেক উপায় রয়েছে সেগুলো নিচে দেওয়া হল ঃ
১। কারি পাতা গাছ মাঝারি উচ্চতার, প্রায় ৫ থেকে ৭ মিটার উঁচু হয়।
২। পাতাগুলো দেখতে অনেকটা নিম পাতার মতো, কিন্তু আকারে ছোট এবং ঘন ঘন।
৩। পাতায় একধরনের সুবাস্প তৈরি করা তেলাকৃতি উপাদান থাকায়, সেই কারণে পাতা কুঁচকুচে এবং ঝালঝালে গন্ধযুক্ত।
৪। ডালের শীর্ষে সাদা ফুল ফোটে, যার ফলের আকার নিমের মতো।
৫। কাচা অবস্থায় ফলটি সবুজ হলেও পরিপক্ক হলে লাল থেকে কালো হয়ে যায়।
কারি পাতা খাওয়ার নিয়ম
কারি পাতা আপনি অনেকভাবে খেতে পারেন। কিন্তু অনেকে জানে না কারি পাতা কিভাবে খেতে
হয়। যারা যারা জানে না যে কারি পাতা খাওয়ার নিয়ম কি তারা এই পুরো অংশটি মনোযোগ
সহকারে পড়লে জানতে পারবে যে কারি পাতা খাওয়ার নিয়ম কি। কারি পাতা খাওয়ার অনেক
নিয়ম রয়েছে সেগুলোর মধ্যে কিছু কিছু নিয়ম নিচে দেওয়া হল ঃ
১। কারি পাতা সকাল সকাল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এগুলো আপনি এমনিতেই কাঁচা খেতে পারেন।
২। শুকিয়ে গুঁড়ো করে পানির সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন।
৩। ত্বক ও চুলের যত্নে কারি পাতা খেতে পারেন।
৪। তেলে সামান্য পরিমাণ ভেজে খেতে পারেন।
৫। সবজি ,মাছ, মাংস্ইত্যাদি তরকারির সাথে রান্না করে খেতে পারেন।
আশা করি এই অংশটি পড়ে আপনি জানতে পেরেছেন যে কারি পাতা খাওয়ার নিয়ম কি বা এই
কারি পাতা কিভাবে আপনি খেতে পারেন।
কারি পাতার বাংলা নাম
উপরের অংশে আমরা জেনেছি কারি পাতা খাওয়ার নিয়ম। কিন্তু এর সাথে আমাদের আরও একটি
বিষয় জানা খুবই প্রয়োজন। সেটি হল কারি পাতার বাংলা নাম কি । এটি অনেকে জানে না
তাই আপনি যদি না জেনে থাকেন তাহলে এই অংশটি পুরোপুরি পড়ে আপনি জানতে পারবেন কারি
পাতার বাংলা নাম কি।
আরো পড়ুন ঃ সকালে কি খেলে গ্যাস হবে না - সকালে কি খেলে গ্যাস হবে
কারি পাতার বাংলা নাম অনেক জানেন না আবার অনেকেই কারি পাতার বাংলা নাম জানে। আমাদের মধ্যে যারা জানে না যে কারি পাতার বাংলা নাম কি তারা এই অংশটি পুরোপুরি মনোযোগ সহকারে পড়ে জানতে পারবে কারি পাতার বাংলা নাম কি। কারি পাতার বাংলা নাম হল বারসুঙ্গা।
আশা করি এই অংশটি পুরোপুরি মনোযোগ সহকারে পড়ে আপনি জানতে পেরেছেন যে কারি
পাতার বাংলা নাম কি।
কারি পাতার আঞ্চলিক নাম কি
কারি পাতার আঞ্চলিক নাম অনেকগুলো রয়েছে। একেক অঞ্চলে কারি পাতার আঞ্চলিক নাম
ভিন্ন হতে পারে। তাই নিচে কয়েকটি কারি পাতার আঞ্চলিক নাম দেওয়া
হল ঃ
১। নরসিং পাতা।
২। মিষ্টি নিম।
৩। নিমভূত।
আরো অনেক কারি পাতার আঞ্চলিক নাম রয়েছে সেগুলো অঞ্চলে আলাদা আলাদা অথবা ভিন্ন হতে পারে। উপরে কারি পাতার তিনটি আঞ্চলিক নাম দেয়া হয়েছে। আশা করি এই অংশটি পুরো মনোযোগ সহকারে পড়ে আপনি জানতে পেরেচেন কারি পাতার আঞ্চলিক নাম কি।
কারি পাতার অন্য নাম
কারি পাতা গাছটির বৈজ্ঞানিক নাম Murrya koiengii ইংরেজিতে Curry Leaf বলে, কারণ এটি রান্নার কারি তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়। কারি পাতার অন্যান্য নাম রয়েছে:
১। তেলুগুতে: কারিভেপাকু।
২। হিন্দিতে: কাডি পাত্তা ।
৩। গুজরাটিতে: মিঠো লিম্বু।
.৪। কঙ্কণিতে: নিম্বেহান্নু।
৫। বাংলায়: বারসুঙ্গা।
৬। মারাঠীতে: মুর্রায।
৭। তামিল এবং মালয়ালমে: কারি পাত্তা।
আশা করি এই অংশটি পুরোপুরি মনোযোগ সহকারে পড়ে আপনি জানতে পেরেছেনকারি পাতার অন্য নাম কি।
কারি পাতা বাংলাদেশে কোথায় পাওয়া যায়
কারি পাতা অনেকের ক্ষেত্রেই, বেশি পরিচিত এমন একটি উপাদান যা স্বাদ এবং ঘ্রাণে পরিপূর্ণ। আপনি যদি ঢাকায় একটু ভালো করে খুঁজে দেখেন যে, কোন বড় ধরনের সবজির বাজারে এই কারি পাতা খুজে পাবেন। তবে ঢাকায় কিছু কিছু বড় সবজির বাজারে কারি পাতা খুঁজে পাওয়া গেলেও কারি পাতাকে ঢাকায় খুব বেশি একটা রন্ধনভভ প্রণালীতে ব্যবহার করে না।
বাংলাদেশের কোথায় কারি পাতা পাওয়া যায় তা জানেন কি? তাই আপনি ঢাকায় সব ধরনের বাজারে কারি পাতা পাবেন না। বাংলাদেশে কারি পাতাকে বারসুঙ্গা নামেও ডাকা হয়। যেহেতু কারি পাতা আয়ুর্বেদিক ঔষধ তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়।
আরো পড়ুন ঃ পায়ের গোড়ালি ব্যথা কমানোর ২২ টি ঘরোয়া উপায় - পায়ের গোড়ালি ব্যথা কিসের লক্ষণ
ডায়াবেটিসকে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। বাংলাদেশের কোথায় কারি পাতা পাওয়া যায় তা জেনে আরও অনেক ধরনের রোগের সমস্যা যেমন ডায়রিয়া, আমাশয় এবং কোন ধরনের পোকামাকড় যদি কামড় দেয় সেইক্ষেত্রে এই কারি পাতাকে ব্যবহার করা হয়। অবশ্য এই কারি পাতাকে সবচাইতেবেশি ঝোল জাতীয় রান্নায় ব্যবহার করা হয় যার ফলে রান্নায় এক ভিন্ন স্বাদ সৃষ্টি হয়।
কারি পাতা কি নিম পাতা
না কারি পাতা নিম পাতা নয়, কারি পাতার বৈজ্ঞানিক নাম হল murriyakoiengii । এবং নিম পাতার বৈজ্ঞানিক নাম হলAzadirachtaindica। কারি পাতা নিম পাতার মতো দেখতে হলেও এর স্বাদ অনেক আলাদা। নিম পাতার স্বাদ অনেক তেতো।
এবং অন্যদিকে কারি পাতার স্বাদ মিষ্টি এবং অনেক ঝাঁঝালো। নিম পাতা শুধু ঔষধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এবং কারি পাতা ভারতীয়দের রান্নার ক্ষেত্রে ব্যবহার করে।
আশা করি এই অংশটি পড়ে আপনারা অবশ্যই জানতে পেরেছেন যে কারি পাতাপাতা কি নিমপাতা
নাকি কারি পাতা আসলে কারি পাতা ।
কারি পাতা চেনার ৫ টি উপায় - কারি পাতা খাওয়ার নিয়ম শেষ কথা ঃ
আপনি যদি আজকের এই আর্টিকেলটি পুরো মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে আপনি কারি পাতা চেনার ৫ টি উপায় - কারি পাতা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পারবেন। আরেকটি কথা না বললেই নয় যে আমাদের এই ওয়েবসাইডে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল পাবলিশ করা হয়।
যদি আপনি এই আর্টিকেলগুলো নিয়মিত পড়তে চান তাহলে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। এছাড়া আমাদের কাছে আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে সেই প্রশ্নগুলো আপনারা কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url