কিডনি ভালো রাখার ১৫ টি উপায় - কিডনি ভালো রাখার খাদ্য
পোস্ট সূচিপ ত্র ঃ কিডনি ভালো রাখার ১৫ টি উপায় - কিডনি ভালো রাখার খাদ্য
- কিডনি ভালো রাখার ১৫ টি উপায়
- কিডনি ভালো রাখার খাদ্য
- কিডনি ভালো আছে কিনা বোঝার উপায়
- কিডনি ভালো রাখার ব্যায়াম
- কিডনি ভালো রাখার ঔষধ
- কিডনি ভালো রাখার দোয়া
- কিডনি ভালো রাখার ১৫ টি উপায় - কিডনি ভালো রাখার খাদ্য শেষ কথা
কিডনি ভালো রাখার ১৫ টি উপায়
মানব দেহের ৫টি অত্যাবশ্যকীয় অঙ্গের মধ্যে কিডনি অন্যতম। মানুষের শরীরে দুইটি কিডনি থাকে। কিডনি শরীরে পানির ভারসাম্য রক্ষা করে এবং বিভিন্ন ধরনের দূষিত ও বর্জ্য পদার্থ ছেঁকে শরীর থেকে বের করে দেয়।
তাই কিডনি বিকল হলে বা ঠিকমত কাজ না করলে ঘটতে পারে নানা বিপত্তি। কিডনির যেকোন রোগ নীরব ঘাতক। এই ধরণের রোগের চিকিৎসাও বেশ ব্যয়বহুল। তাই আগে থেকেই কিডনির যত্ন নেয়া উচিত। তাহলে চলুন জেনে না যাক কিডনি ভালো রাখার ১৫ টি উপায় কি ।
কিডনি ভালো রাখার ১৫ টি উপায় নিচে দেওয়া হল ঃ
১। লবন কম খেতে হবে - খাবারে অথবা বিভিন্ন তরকারিতে আমাদের লবন কম খাওয়া উচিত। অতিরিক্ত লবণ , খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। মানুষের শরীরে প্রতিদিন ১ থেকে ২ চামচ লবণ গ্রহণ করা উচিত। তাই আমাদের কিডনি সুস্থ রাখতে অতিরিক্ত লবণ খাওয়া অভ্যাস পরিহার বা ছেড়ে দিতে হবে।
আরো পড়ুন ঃ জিংক 20 ট্যাবলেট এর কাজ কি - জিংক ট্যাবলেট এর দাম কত
২। প্রাণিজ প্রোটিন খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে - গরুর অথবা ছাগলের মাংসমাংস বা এই ধরনের প্রাণিজ আমিষ খেলে কিডনির উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে।ফাস্টফুড,প্রক্রিয়াজাত,খাবার নুডলস এবং লবণ দিয়ে কিডনির জন্য অনেক ক্ষতিকর।
৩। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে - কিডনি ভালো রাখতে প্রতিদিন অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি বা তরল খাবার খাওয়া উচিত। অতিরিক্ত ঘাম ঝরলে পানি খাওয়ার পরিমাণ আরো বাড়াতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেলে কিডনিতে পাথর হয় না এবং এর স্বাভাবিক কার্যক্রম ঠিক থাকে।
৪। ভুল ভাল ওষুধ খাওয়া থেকে সচেতন থাকতে হবে - কম বেশি প্রায় সব ওষুধই কিডনির জন্য ক্ষতিকর। বিশেষ করে ব্যথানাশক ওষুধগুলো কিডনির জন্য সব সময়ই হুমকিস্বরূপ। নিয়ম না জেনে বা নিজে নিজে ওষুধ কিনে খেলে অজান্তেই কিডনির বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। তাই যেকোন ওষুধ খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিতে হবে।
৫। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে -আপনার যদি ডায়াবেটিস থাকে। এবং ডায়াবেটিসে নিয়ন্ত্রণ না থাকে তাহলে আপনার কিডনি ঝুঁকি বাড়তে পারে। তাই আপনাকে সর্বপ্রথম আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। বেশি মিষ্টি জাতীয় খাবার এবং ফাস্ট ফুড খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। তাহলে আপনার কিডনি রোগের ঝুঁকি অনেকটা কমে যাবে।
৬। কোমল পানিও ত্যাগ করতে হবে - অনেকেই কোমল পানিও ও এনার্জি ড্রিংস খেয়ে থাকেন। এগুলো থেকে আপনারা এলার্জির সৃষ্টি হতে পারে। তাই আপনাকে কোমল পানিও এবং নিউট্রিশন এবং এনার্জি ড্রিংস ত্যাগ করতে হবে। আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে কোমল ড্রিংক খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার কিডনি রোগের অনেক ঝুঁকি রয়েছে।
তাই আপনাকে কোমল পানিও ত্যাগ করতে হবে। আপনার যখন তৃষ্ণা পায় তখন আপনারা হয়তো কোমল পানীয় খেয়ে থাকেন। তাই আপনার যদি তৃষ্ণা পেয়ে থাকে তাহলে আপনি কোমল পানিও বদলে ঠান্ডা পানি পান করবেন।
আরো পড়ুন ঃ সকালে কি খেলে গ্যাস হবে না - সকালে কি খেলে গ্যাস হবে
৭। নিয়মিত কিডনি পরীক্ষা করতে হবে - উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, অতিরিক্ত ওজন অথবা পরিবারের কারো কিডনি সমস্যা থাকলে কিডনি রোগ হবার ঝুঁকি বেশি থাকে। যাদের কিডনি রোগের ঝুঁকি আছে তাদের অবশ্যই নিয়মিত কিডনি পরীক্ষা করানো উচিত।
আপনি যদি ঘন ঘন কিডনি পরীক্ষা করেন তাহলে আপনি জানতে পারবেন আপনার কিডনির কোথায় কি সমস্যা রয়েছে। এবং সে অনুযায়ী আপনি চিকিৎসা নিতে পারবেন তাই আপনি যদি নিয়মিত পরীক্ষা করেন তাহলে আপনার কিডনি রোগের ঝুঁকি অনেকটা কমে যাবে।
৮। ধূমপান বা মদ্যবান পরিহার করতে হবে- আপনি যদি নিয়মিত মদ্যপান এবং ধূমপান করে থাকেন তাহলে আপনার কিডনি এবং লিভার অথবা স্বাস্থ্যের ব্যাপক পরিমাণ অথবা খুব বেশি ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। তাই আপনাকে ধূমপানের মধ্যপান পরিহার করতে হবে। তাহলে আপনার কিডনি অনেক ভালো ও সুস্থ থাকবে। তার যদি আপনি আপনার কিডনি সুস্থ ও ভালো রাখতে চান তাহলে ধূমপানের মধ্য পান ত্যাগ করতে হোবে।
৯। প্রয়োজনের বেশি ভিটামিন সি খাওয়া যাবে না- মানুষের শরীরে প্রতিদিন ৫০০ মিলিগ্রামের বেশি ভিটামিন সি-এর প্রয়োজন নেই। নিয়মিত প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই প্রতিদিন ৫০০ মিলিগ্রাম বা এর কম ভিটামিন সি গ্রহণ করুন।
১০। রক্তচাপ স্বাভাবিক মাত্রায় রাখার চেষ্টা করতে হবে- রক্তচাপ ১৫০/৮০ এর উপরে থাকলে কিডনিতে সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। কিডনি ভালো রাখতে রক্তচাপ সবসময় ১৪০/৯০ অথবা এর কম রাখার চেষ্টা করতে হবে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম করা ও লবণ কম খাওয়া জরুরী
কিডনি ভালো রাখার খাদ্য ঃ
কিডনি মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এটি শরীরের রক্তকে ফিল্টার করার কাজ করে। এ কারণে কিডনি সুস্থ রাখা খুবই জরুরি। বিশেষজ্ঞদের মতে, কিডনি সুস্থ রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পানের বিকল্প নেই। এর পাশাপাশি সুষম খাবার খাওয়াও প্রয়োজন। সুষম খাদ্যের মধ্যে সবজির গুরুত্ব অনেক। এছাড়াও আরও কিছু খাবার কিডনি সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। যেমন-
ক্যাপসিকামঃ অ্যান্টি-অ্যাক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ক্যাপসিকাম শরীরকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি কিডনিকেও ভালো রাখে। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি৬, বি৯, সি এবং ভিটামিন কে পাওয়া যায়। এই সব ভিটামিন কিডনি সুস্থ রাখতে ভূমিকা রাখে।
রসুন ঃ রসুন আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। যদি
নিয়মিত সকালে রাতে এক থেকে দুই কয়া রসুন খাই তাহলে আমাদের কিডনি সুস্থ
থাকবে ।
শাকসবজিঃ কিডনির জন্য খুবই উপকারী সবুজ শাকসবজি। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
আরো পড়ুন ঃ কিডনি ব্যথা দূর করার উপায় - কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ
বাঁধাকপিঃ কিডনি সুস্থ রাখতে বাঁধাকপিও খুব কার্যকরী। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, সোডিয়াম এবং ফাইবার পাওয়া যায়। এই সব ভিটামিনই কিডনি সুস্থ রাখে।
আপেলঃ আপেল স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী একটি ফল। এতে পাওয়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য শুধু শরীরকেই ফিট রাখে না কিডনিকেও সুস্থ রাখে। এতে থাকা অ্যাক্টিন নামক দ্রবণীয় ফাইবার রক্তে শর্করা এবং কোলেস্টেরল কমায়, যা জন্য কিডনির জন্য ভালো।
স্ট্রবেরি ঃ স্ট্রবেরি অনেক একটি সুস্বাদু ফল আপনি যদি
স্ট্রবেরি নিয়মিত খান তাহলে আপনার কিডনি রোগের ঝুঁকি অনেক কমে যাবে
এবং আপনার কিডনি সবসময় সতেজ এবং সুস্থ থাকবে।
মাছ ঃ মাছ প্রোটিনের প্রধান উৎস। বাংলাদেশের নানা
প্রজাতির মাছ রয়েছে। আপনি যদি প্রতিদিন মাছ খান তাহলে আপনার কিডনি রোগ
অনেকটা কমে যাবে।
লালমরিচ ঃলাল মরিচে প্রচুরলাল মরিচে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। যা আপনার শরীরের জন্য খুব ভালো। এতে পটাশিয়াম থাকে। যা কিডনির জন্য খুব ভালো।
ডিম ঃযদি আপনি কিডনি রোগে আক্রান্ত থাকেন, তাহলে ডিম খেতে পারেন। সম্পূর্ণ একটি ডিম আপনি যদি প্রতিদিন খান, আপনার শরীর একেবারে ফিট থাকবে। বাড়বে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতাও। আপনি যদি কিডনি রোগে ভুগেন তাহলে আপনি প্রতিদিন দুই থেকে তিনটি ডিম খেতে পারেন। তাহলে আপনার কিডনি রোগ সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কফি ঃকিডনি ভালো রাখতে মাঝে মধ্যেই কফি খেতে পারেন। কফিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যাফেইন থাকে। তবে বেশি পরিমাণে কফি খাবেন না। সেটা আবার শরীরের জন্য একদমই ভালো নয়।
বাদামি চাল ঃ ভিটামিন, ফাইবার, খনিজ সমৃদ্ধ শস্য খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো। বাদামি চাল খেতে পারেন। এতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ফসফরাস, সোডিয়াম থাকে। যা আপনার কিডনি ভালো রাখতে সাহায্য করবে।
কিডনি ভালো আছে কিনা বোঝার উপায়
২০২৫ সালেএসেছে ‘বাংলাদেশে প্রতি ১০০ জনে ৮ থেকে ১০ জন কিডনি সমস্যায় ভুগছেন, অথচ তিনি জানেন না। বিশ্বের জনসংখ্যায় তা ১০১জনে প্রায় ২৩ জন। প্রাণঘাতী এই রোগ শরীরে বাসা বাঁধার আগেই জেনে নেওয়া যাক কিডনি রোগের প্রাথমিক ও গুরুতর লক্ষণগুলো কী কী। শরীরের দুটি কিডনির ৭০-৮০ ভাগ নষ্ট হওয়ার আগে এমন ধরনের লক্ষণ দেখা যায় না সেই লক্ষণগুলো হল ঃ
১। অতিরিক্ত দুর্বলতা।
২। ক্ষুধামান্দ্য বা খাওয়ার অনিচ্ছা।
৩। কোনো চর্মরোগ ছাড়াই শরীর চুলকানো এবং চামড়া শুষ্ক হয়ে যাওয়া।
৪।কোনো কারণ ছাড়াই বমি বমি ভাব।
৫। প্রস্রাবে প্রচণ্ড দুর্গন্ধ হওয়া।
৬। প্রস্রাবে বেশি বেশি ফেনা তৈরি হওয়া।
গুরুতর লক্ষণ ঃ
১। প্রস্রাবের সঙ্গে জ্বালাপোড়া
২। তলপেটে ব্যথা
৩। নাভির দুই পাশে অল্প অল্প ব্যথা করা
৪। প্রস্রাব লালচে কালার হয়ে যাওয়া
৫। শ্বাসকষ্ট হওয়া।
৬। মাংসপেশিতে ব্যথা হওয়া
৭। জ্বর হওয়া
৮। চোখ মুখ ফুলে যাওয়া
আসা করি প এই অংশটি পুরোপুরি পড়ে আপনি জানতে পেরেছেন কিডনি ভালো আছে কিনা তা বোঝার উপায়। কিডনি ভালো আছে কিনা তা জানা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
কিডনি ভালো রাখার ব্যায়াম
কিডনি আমাদের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ বা স্থান তাই আমাদের কিডনি
সুস্থ ও ভালো রাখতে হবে। তাই কিডনি সুস্থ রাখতে আমাদের ওষুধ খাওয়ার
পাশাপাশি অনেক ব্যায়াম রয়েছে। তা আমরা অনেকেই জানিনা তাই আপনার জন্য না
যে থাকেন তাহলে আজকের এই অংশটি পড়ে আপনি জানতে পারবেন কিডনি ভালো রাখার
ব্যায়াম কি। কিডনি ভালো রাখার নিচে দেয়া হল ঃ
১। হাঁটাঃ হাঁটা কিডনি রোগীদের জন্য সবচেয়ে ভালো ব্যায়াম। প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটা উচিত।
২। সাইক্লিংঃ সাইক্লিংও একটি ভালো ব্যায়াম। এটি হাঁটুর উপর চাপ কম দেয়।
৩। যোগাসন ও তাইচি: এই ধরনের ব্যায়াম শরীরের নমনীয়তা বাড়ায় এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
আরো পড়ুন ঃ ই ক্যাপ 400 এর উপকারিতা ও অপকারিতা - ই ক্যাপ কতদিন খেতে হয়
৪। শক্তি প্রশিক্ষণঃ হালকা ওজন উত্তোলন বা ব্যান্ড ব্যবহার করে শক্তি প্রশিক্ষণ করা যেতে পারে। তবে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়েই এটি করা উচিত।
আপনি যদি উপরের অংশটি পুরোপুরি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে আপনি জানতে
পারবেন কিডনি ভালো রাখার ব্যায়াম কি। এবং সে অনুযায়ী আপনি ব্যায়াম
করতে পারবেন।
কিডনি ভালো রাখার ঔষধ
কিডনি এই রোগের কিছু অস্পষ্টউপসর্গ দেখা যায় যার মধ্যে কিছু হল ক্ষুধা হ্রাস, অসুস্থ বোধ করা ইত্যাদি। উচ্চ রক্তচাপ সম্পন্ন অথবা ডায়াবেটিক সম্পন্ন অথবা ডায়াবেটিক অথবা ডায়াবেটিক রোগীদের মধ্যে এই রোগটি দেখা যায়। এই রোগটি অন্যান্য রোগ যেমন কার্ডিওভাসকুলার, অ্যানিমিয়া এবং পেরিকার্ডাইটিস-এর কারণ হিসেবে গণ্য করা হয়। ক্রনিক কিডনি রোগের চিকিৎসার আদর্শতম উপায় হল হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাপদ্ধতি।
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাহলো প্রাকৃতিক পদ্ধতি এবং এর দ্বারা রোগের সমস্ত কারণ নিবারণের চেষ্টা করা হয়। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় উপসর্গ সব সময় প্রধান মান্যতা পায়। উপসর্গের মাধ্যমে এখানে সর্বাপেক্ষা ভাল ওষুধের চয়ন করা হয়। নিম্নে কিছু ওষুধের বিশদ বিবরণ দেওয়া হলো যেগুলি ক্রনিক কিডনি রোগটি নিবারণের জন্য ব্যবহৃত হয়। নিচে কিছু কিডনি রোগের ঔষধের নাম দেয়া হলো ঃ
এপিস মেলিফিকাঃ এই ওষুধটি রোগের তীব্র পর্যায়ে ব্যবহৃত ব্যবহৃত হয় না। এই সময়-এর লক্ষণ গুলি হল প্রচন্ড ঘাম দেওয়া, মাথা ব্যথা, ঘাড়ে ব্যথা হওয়া ইত্যাদি। যখন কিডনিতে অল্প ব্যথা হয় প্রস্রাবের পরিমাণ কম হয়ে যায় তখন এই ওষুধটি ব্যবহার করা হয়। রোগীর প্রস্রাবে অ্যালবুমিন থাকে এবং রক্তে করপাসলবর্তমান চামড়া ফুটো হয়ে যায় এবং রোগী তৃষ্ণার্ত বোধ করে।
১। আর্সেনিকামঃ এই ওষুধটি রোগের সব পর্যায়ে ব্যবহৃত হয় এবং এটি রোগের সর্বোত্তম প্রতিকার গুলির মধ্যে একটি। এটি রোগের পরবর্তী পর্যায়ে ব্যবহৃত হয় যখন রোগীর ত্বক ফ্যাকাশে হয়ে যায় এবং সে মোমের ন্যায় আচরণ করে ।
আরো পড়ুন ঃ পায়ের গোড়ালি ব্যথা কমানোর ২২ টি ঘরোয়া উপায় - পায়ের গোড়ালি ব্যথা কিসের লক্ষণ
সাথে অতিরিক্ত তৃষ্ণার্ত বোধ এবং ডায়রিয়া হয়। প্রস্রাবের রং খুবই চাপা ধরনের হয় এবং তাতে অ্যালবুমিনের পরিমাণ প্রচন্ড বেশি থাকে। রাতে শোয়ার সময় রোগীর শ্বাসকষ্ট লক্ষ্য করা যায়। এই সময়ে অ্যাকোনাইট প্রদানের ফলে রোগী কিছুটা স্বস্তি পায়।
২। অরাম মুরিয়াটিকামঃ হোমিওপ্যাথিক ওষুধটি ছাগলের কারণে হওয়া হওয়া মরবুসব্রাইটির মতো রেচন রোগ নিরাময় ব্যবহৃত হয় ।এর দ্বারা ভার্টিগোও হতে পারে।
৩। ক্যান্থারিসঃ এই হোমিওপ্যাথিক ওষুধটি নেফ্রাইটিস নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়। ক্যান্থারিস ডিফথেরিক কিডনি রোগে ড্রপসির সাথে ব্যবহার করা হয়।
৪। কোনাভ্যালারিয়াঃ হৃদরোগের কারণে নেফ্রাইটিস হলে কোনাভ্যালারিয়া ব্যবহৃত হয়। যখন হৃদপিণ্ড অনিয়মিত ভাবে কাজ করে তখন এই ওষুধ প্রয়োগ করা হয়। হোমিওপ্যাথিক ওষুধ দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের চিকিৎসার জন্য খুবই কার্যকর ।সব ধরনের রেচন রোগের জন্য হোমিওপ্যাথিকে নিরাময় আছে।
সতর্কতা ঃ এই ওষুধগুলো সেবন করার আগে অবশ্যই ডাক্তারের
পরামর্শ নিয়ে সেবন করবেন।
কিডনি ভালো রাখার দোয়া
কিডনিতে হওয়া মানুষের সুস্থতার জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। সুস্থ ও সুন্দর জীবনের জন্য সুস্থ কিডনির বিকল্প নেই। যখন কোনো কিডনিতে পাথর হয় তখন মানুষ নানা বিড়ম্বনায় পড়ে। তবে কিডনির রোগ থেকে মুক্ত থাকতে নিয়মতান্ত্রিক জীবন-যাপনের বিকল্প নেই। যদি কারো কিডনিতে পাথর হয় তবে তাকে অবশ্যই শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবন-যাপন করতে হবে।
সুস্থ জীবন লাভে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। বিজ্ঞাপন পাশাপাশি এ ঝুঁকিযুক্ত সমস্যা থেকে মুক্ত থাকতে রয়েছে কুরআনি আমল। সুতরাং যদি কেউ কিডনিতে পাথরে আক্রান্ত হয়, তার উচিত এ জটিল সমস্যা সমাধানে কুরআনি আমল করা। নিচে আর উচ্চারণ দেয়া হলো ঃ
বাংলা উচ্চারণ ঃ ছুম্মা কাসাদ কুলুবুকুম মিম বাদী জালিকা ফাহিয়া কাল হিজারাতে আওআশহাদু কাস ওয়াহ ওয়া ইন্না হিজারাতি লিমা ইয়াতাফ জজারু মিনহুল আনহারওয়া ইন্না মিনহা লামা ইয়াসাক কাকু ফা ইয়া খরজু মিনহুল মা ওয়া ইন্না মিনহা লামা ইয়াহাবিতু খাস ইয়া তিল্লাহ ওয়াম আল্লাহু বিগা ফিলিন আম্মা তামালুন।
কিডনি ভালো রাখার ১৫ টি উপায় - কিডনি ভালো রাখার খাদ্য শেষ কথা ঃ
আপনি যদি আজকের এই আর্টিকেলটি পুরোপুরি পড়ে থাকেন তাহলে কিডনি ভালো রাখার ১৫ উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন।
আরো পড়ুন ঃ এম এম কিট খাওয়ার পর ব্যাথা হলে করনীয় কি - এম এম কিট খাওয়ার নিয়ম
এছাড়া এ সম্পর্কিত আরো কিছু তথ্য এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে সে বিষয়গুলো জানতে পেরেছেন। আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এরকম তথ্যমূলক আর্টিকেল পাবলিশ করা হয়। তাই আপনি যদি এরকম তথ্যমূলক আর্টিকেল নিয়মিত পেতে চান আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url