দেশি মুরগির ঝিমানো রোগের প্রাকৃতিক চিকিৎসা - দেশি মুরগির বাচ্চার ঔষধের তালিকা

পোস্ট সূচীপত্র ঃ  দেশি মুরগির ঝিমানো রোগের প্রাকৃতিক চিকিৎসা -  দেশি মুরগির বাচ্চার ঔষধের তালিকা

• দেশি মুরগির ঝিমানো রোগের প্রাকৃতিক চিকিৎসা
• দেশি মুরগির ঝিমানো ও চুনা পায়খানা রোগের চিকিৎসা
• দেশি মুরগির বাচ্চার ঔষধের তালিকা
• দেশি মুরগির রোগ ও চিকিৎসা pdf
• দেশি মুরগির ঝিমানো ও চুনা পায়খানা রোগের ঔষধ
• দেশি মুরগির ঝিমানো রোগের প্রাকৃতিক চিকিৎসা -  দেশি মুরগির বাচ্চার ঔষধের তালিকা শেষ কথা ঃ

দেশি মুরগির ঝিমানো রোগের প্রাকৃতিক চিকিৎসা

দেশি মুরগির অনেক সময় ভাইরাস জনিত বা ঋতু পরিবর্তনের কারণে দেশি মুরগির ঝিমায়। বা অনেক সমস্যা  দেখা যায়। এ সময় আপনি অনেক ঔষধও খাওয়াতে পারেন মুরগিকে অথবা অনেক প্রাকৃতিক চিকিৎসা রয়েছে সেগুলো অবলম্বন করে আপনার দেশি মুরগিটি সুস্থ করে তুলতে পারেন। প্রাকৃতিক উপায় অনেকগুলো রয়েছে বা অনেক চিকিৎসা রয়েছে। 

আরো পড়ুন : কিডনি ভালো রাখার ১৫ টি উপায় - কিডনি ভালো রাখার খাদ্য

আপনি যদি মুরগা অসুস্থ হওয়ার আগেই যদি পদক্ষেপ নেন তাহলে আপনার মুরগি রোগ থেকে বেঁচে যেতে পাড়ে।দেশি মুরগির ঝিমানো রোগের প্রাকৃতিক চিকিৎসা হল । আপনাকে প্রথমে কয়েকটি উপাদান নিয়ে নিতে হবে সেই উপাদানগুলো হল ঃ

১। তুলসী পাতার রস।

২। লবঙ্গ অথবা রসুন।

৩। নিম পাতার রস।

৪। আদা জল।

৫। কাঁচা হলুদ।

৬। কেরোসিন তেল।

ব্যবহার করবেন যেভাবে ঃ

তুলসী পাতার রস ঃ

তুলসী পাতার রস অনেক উপকারী। তুলসী পাতার রস মুরগির ঝোলানো রোগ ও কাশি জ্বর সর্দি ভালো করে। আপনি সর্বপ্রথম কয়েক ফোটা তুলসী পাতা রস করে নিয়ে। মুরগিকে চালের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়াবেন অথবা শুধু খালি তিন থেকে চার ফোঁটা দিনে দুই থেকে তিনবার খাওয়াতে হোবে। এবং রাতে দুইবার করে খাওয়াতে হবে।

লবঙ্গ অথবা রসুন ঃ

লবঙ্গ মুরগির অনেক রকম সমস্যার সমাধান করে। লবঙ্গ প্রাকৃতিক ঔষধ হিসেবে অনেক পরিচিত। এবং এটি অনেকে প্রয়োগ করে থাকে। তিন থেকে চারটি লবঙ্গ গরম পানিতে ডুবে রাখতে হবে। এরপর সেই গরম পানিতেই অনেক ঠান্ডা হয়ে গেলে সেটি ভালো করে ছেকে সেই পানিটি বের করে নিয়ে মুরগীকে খাইয়ে দিতে হোবে । তখন দেখবেন যে মুরগির ঝিমানো রোগ অথবা অন্যান্য রোগ ভালো হয়ে গেছে।

রসুন ব্যবহার করবেন যেভাবে ঃ দুই থেকে তিন কোয়া রসুন সর্বপ্রথম মুরগির পানিতে দিতে হবে রসুনটি ভালোভাবে ফাটিয়ে সে রসটি পানিতে দিতে হবে। এটি দিনে দুই থেকে তিনবার পানির সঙ্গে দিতে হবে। তাহলে মুরগির রোগ অনেকটাই কমে যাবে অথবা ভালো হয়ে যাবে।

নিম পাতার রস ঃ 

নিম পাতার রস অনেক উপকারী। নিম পাতার রস মুরগিকে এক থেকে দুই সপ্তাহ খাওয়াতে হবে। নিম পাতার রস মুরগির অনেক জীবাণু মেরে ফেলে । এবং অনেক ক্ষতিকর জীবাণু ধ্বংস করে দেয়। তাই এক থেকে দুই সপ্তাহ দিনে ১ থেকে ৩ বার মুরগিকে নিম পাতার রস খাওয়াতে হবে। এবং তার পাশাপাশি মুরগির বাসস্থান পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। তাহলে মুরগি অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাবে । এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকবে।

আরো পড়ুন : গোসলের সময় কানে পানি গেলে করণীয় - বাচ্চাদের কানে পানি ঢুকলে করনীয় কি

আদা জল ঃ আদা জল মুরগির হজমজনিত সমস্যা সমাধান করে অথবা দূর করে। মুরগির পেটের ক্ষতিকর ক্রিমি থেকে বিভিন্ন সমস্যা সহজে দূর করবে। এক টুকরো আদা ব্লিন্ড করে আদার রস মুরগিকে খাবার পানির মাধ্যমে খাওয়ান।

কাঁচা হলুদ ঃ 

কাঁচা হলুদ মুরগির  ঝিমানো রোগের জন্য একটু উপকারী প্রাকৃতিক ঔষধ হলো কাঁচা হলুদ। এটি মুরগির জন্য অনেক উপকারী। এটি মুরগির অনেক ভাইরাস ধ্বংস করে দেয়। কাঁচা হলুদ প্রতিদিন দিনে দুই থেকে তিনবার সেই কাঁচা হলুদ টি পিষে অথবা ব্লেন্ড করে পানির সঙ্গে খাওয়াতে হবে।

কেরোসিন তেল ঃ 

কেরোসিন তেল মুরগির জীবাণু ধ্বংস করে দেয়। মুরগির  ঝিমানো পূর্ববর্তী অবস্থায় মুরগ মুরগিকে প্রতি ১০ গ্রাম চালের সাথে এক ফোঁটা কেরোসিন তেল মিশে খাওয়াতে হবে। অতিরিক্ত খাওয়ালে অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে।

দেশি মুরগির ঝিমানো ও চুনা পায়খানা রোগের চিকিৎসা

দেশি মুরগির ঝিমানো ও চুনা পায়খানার রোগ রানীক্ষেতের লক্ষণ। এ রোগে মুরগির অনেক ভাইরাস জনিত সমস্যা হতে পারে। তাছাড়া ঠান্ডা লাগার কারণে দেশি মুরগির ঝিমানো ও চুনা পায়খানা রোগে আক্রান্ত হয়।

আর আপনার মুরগি যদি এ রোগে আক্রান্ত হয় তাহলে আপনার মুরগির ডিম দেওয়া বন্ধ করে দিতে পারে। এরকম সমস্যা যদি দেখা যায় তাহলে আপনার সুস্থ মুরগি এবং রোগে আক্রান্ত হওয়া মুরগি আলাদা আলাদা জায়গায় রাখবেন। এবং আপনার সবগুলো মুরগি ভালোভাবে আবাসস্থল জীবাণু নাশক দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিবেন।

তারপর প্রতি ১০ পিস মুরগির জন্য ৩ গ্রামLIXENপাউডার চার লিটার জলে মিশিয়ে মুরগিকে খাওয়াবেন। অথবা enrofloxin ঔষধ ১০০ মুরগির জন্য ১.৫ মিলি চার লিটার পানিতে মিশিয়ে মুরগি খাওয়াবেন। আশা করি খুব সহজে মুরগির সুস্থ হবে।

দেশি মুরগির বাচ্চার ঔষধের তালিকা

দেশি মুরগির বাচ্চা তা তো ঠিক রাখার জন্য অনেক ওষুধ রয়েছে। এগুলো ঔষধ মুরগির অনেক সমস্যা সমাধান করে দেয়। আপনি যদি না জেনে থাকেন কোন ঔষধ কোন কাজে আসে তাহলে এই অংশটি পড়ে আপনি জানতে পারবেন দেশি মুরগির বাচ্চার ঔষধের তালিকা। নিচে দেশী মুরগির বাচ্চার ঔষধের তালিকা দেয়া হলো ঃ

১। রিভিটা প্লাস।

২। ইমিউনো প্লাস।

দ্বিতীয় থেকে তৃতীয় দিন যে ঔষধ খাবেন।

১। ইমিউনো প্লাস।

২। এবং, রানীক্ষেত ভ্যাকসিন দিতে হবে।

পঞ্চম দিনের যে ঔষধ খাওয়াবেন ঃ

১।রিভিটা প্লাস।

২। চিক নিউরভিট।

দশম দিনে যে ঔষধ খাবেন ঃ

১। ইমিউনো প্লাস।

২। গামবর ভ্যাকসিন।

আপনি যদি এই ওষুধটি নিয়মিত আপনার দেশি মুরগিকে খাওয়াতে পারেন তাহলে আপনার দেশি মুরগি অনেকটাই সুস্থ ও সফল হয়ে উঠবে।

দেশি মুরগির রোগ ও চিকিৎসা pdf

বন্ধুরা এই আর্টিকেলে বিভিন্ন অংশে দেশি মুরগির রোগ ও চিকিৎসার উদাহরণ দেয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরও আমাদের মধ্যে অনেকের দেশি মুরগির রোগ ও চিকিৎসা pdf দেখার ইচ্ছা প্রকাশ হয় তাই এই অংশে আমরা কিছু দেশি মুরগির রোগ ও চিকিৎসার pdf দিয়ে দেব যেটা দেখে আপনি বুঝতে পারবেন দেশি মুরগির রোগও চিকিৎসা ।

আশা করি এই ছবিগুলো দেখে আপনি বুঝতে পেরেছেন দেশি মুরগির রোগ ও চিকিৎসা pdf সম্পর্কে

দেশি মুরগির ঝিমানো ও চুনা পায়খানা রোগের ঔষধ

মুরগির চুনা পায়খানা হলে সাধারণত দুই-একদিনের মধ্যে সেরে যায়। যদি অতিরিক্ত মুরগির সোনা পায়খানা হয় সে ক্ষেত্রে প্রতি ২০ পিচ মুরগির জন্য একটি রেনামাইসিন ট্যাবলেট গুঁড়ো করে খাবারের সাথে মুরগিকে খাওয়ান আশা করি সুস্থ হবে। যদি খামারে অধিক সংখ্যক মুরগি আক্রান্ত হয় সে ক্ষেত্রে ভেটেনারি চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

আরো পড়ুন : ভাতের মাড়ের ১২ টি উপকারিতা - ভাতের মাড়ের ১০ টি ক্ষতিকর দিক 

এতে করে আপনার দেশি মুরগির ঝিমানো ও চুনা পায়খানা রোগের সমাধান হয়ে যাবে। সমাধান হতে হলে আপনাকে নিয়মিত এটি খাওয়াতে হবে। নিয়মিত না খাওয়ালেদেশি মুরগির ঝিমানো ও চুনা পায়খানা রোগের সমাধান নাও হতে পারি। তাই জন্য এটা আপনাকে নিয়মিত করতে হবে

দেশি মুরগির ঝিমানো রোগের প্রাকৃতিক চিকিৎসা -  দেশি মুরগির বাচ্চার ঔষধের তালিকা শেষ কথা ঃ

বন্ধুরা আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনার মুরগি চাষ করার আগ্রহী আরো বেড়ে যাবে কারণ আজকের এই আর্টিকেলে আমরা যে বিষয়টি আলোচনা করা হয়েছে সে বিষয়টি হল  দেশি মুরগির ঝিমানো রোগের প্রাকৃতিক চিকিৎসা এবং  দেশি মুরগির বাচ্চার ঔষধের তালিকা । এগুলো জরুরী বিষয়গুলো জানার পরে আপনার মুরগি চাষ করার আগ্রহী টা কতটুকু সেটা কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাতে পারেন ।

এছাড়া এরকম বিভিন্ন তথ্যমূলক আর্টিকেল যদি পড়তে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন অথবা বুক মার্ক করে রাখতে পারেন ধন্যবাদ।