এরপর তিনবারআল্লাহু আকবার চ্চারণ করে তাকবির বলতে হয়।প্রথম দুই বার কান
পর্যন্ত হাত উঠিয়ে ছেড়ে দিতে হবে।কিন্তু তৃতীয়বার বলে হাত বেঁধে নেন সবাই
,প্রতিটি তাকবিরের পর তিনবার সুবহানাল্লাহ বলা যায় এমন সময় থেমে থাকতে হয়।
তারপর আউজুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহ পড়ে সূরা ফাতেহার পর একটি সূরা যুক্ত করেন
ইমাম,এরপর স্বাভাবিক নামাজের মতোই রুকু ও সিজদা করে দ্বিতীয় রাকাতের জন্য
দাঁড়াতে হয়,এবার বিসমিল্লাহ বলার পর সূরা ফাতেহা পড়ে আরেকটি সূরা মেলানো
হবে।তারপর তিনবার আল্লাহু আকবার,বলার মাধ্যমে তিনটি তাকবির সম্পন্ন করতে
হয়। এ সময় প্রতিটি তাকবিরের পর হাত ছেড়ে দিতে হবে এবং চতুর্থবার।
আল্লাহু আকবার।বলে হাত না বেঁধে রুকুতে চলে যাওয়া নিয়মএরপর সেজদা ও আখেরি
বৈঠকের পর সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ হয়।দুল ফিতরের দুই রাকাত নামাজ শেষে ইমাম
উঠে দুটি খুতবা দেন।ঈদের খুতবা শোনা ওয়াজিব,খুতবা শেষে সবাই মসজিদ থেকে বের
হবেন।
এই নিয়মগুলো মেনে যদি আপনি ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়েন তাহলে আপনার নামাজ
অবশ্যই সঠিক বলে গণ্য হবে।
দুই ঈদের নামাজের নিয়ত
ঈদুল ফিতরের নামাজ শুরু করার আগে নিয়ত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ,নিয়ত
হচ্ছে এমন একটি অভ্যন্তরীণ যা দ্বারা আমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে ইবাদত শুরু
করি। দের নামাজের নিয়ত নিম্নরূপঃ
উচ্চারণ ঃ
আমি নিয়ত করলাম দুই রাকাত ঈদের ওয়াজিব নামাজ আদায় করব আল্লাহর জন্য।
ইমামের সাথে তাকবিরে তাহরিমা ও অতিরিক্ত তাকবিরস,নিয়ত হৃদয়ের একটি কাজ।তবে
মুখে উচ্চারণ করাও সুন্নত। এটি পড়ে মনের গভীর থেকে ঈদের নামাজে অংশ নেওয়ার
প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়।
এই নিয়তি সঠিকভাবে অবলম্বন করে যদি নামাজ পড়েন তাহলে অবশ্যই আপনার নামাজটি
সঠিক হবে ইনশাল্লাহ।
ঈদের নামাজ পড়া কি ফরজ
ঈদের নামাজের ফারয বা ওয়াজিব হওয়ার বিষয়ে ইসলামি স্কলারদের মাঝে কিছু
মতপার্থক্য রয়েছে, হানাফি মাযহাব অনুসারে ঈদের নামাজ ওয়াজিব।অর্থাৎ এটি
একটি এমন ইবাদত যা ছেড়ে দিলে গুনাহ হয়।তবে ফরজের মতো কঠোর নয়।
ইমাম আবু হানিফা রহ বলেন।ঈদের নামাজ এমন এক ইবাদত যা রাসূলুল্লাহ সা সর্বদা
আদায় করেছেন এবং মুসলমানদের তা আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন।অন্যদিকে
মালিকি শাফেয়ি ওমাযহাব মতে ঈদের নামাজ সুন্নাতে মুয়াক্কাদা।যা অর্থাৎ এমন
একটি সুন্নাহ যা রাসূলুল্লাহ নিয়মিতভাবে পালন করতেন এবং উম্মতের উপর জোর
দিতেন।
তবে তারা এটিকে ফরজ বা ওয়াজিব বলেন নআ।অতএব।হানাফি মতে ঈদের নামাজ
ওয়াজিব।আর অন্য মাযহাব অনুসারে এটি সুন্নাতে মুয়াক্কাদা।তবে কেউ ঈদের
নামাজ ইচ্ছাকৃতভাবে না পড়লে ।বিশেষত হানাফি মতে এটি গুনাহের কাজ হিসেবে
বিবেচিত হতে পারে।
ঈদের নামাজ কয় তাকবীর
আমাদের মধ্যে অনেকেই জানে না যে ঈদের নামাজ কয় তাকবীর। ঈদের নামাজ পড়তে
হলে ঈদের নামাজ কয় তাকবীর সেটা আমাদের অবশ্যই জানতে হবে। সেটা যদি আমরা না
জানি তাহলে আমরা ভালো করে নামাজ পড়তে পারবো না এবং নামাজে মন বসতে পারবো
না।
আরো পড়ুন ঃ আরবি কোন মাসে বিয়ে করা নিষেধ - আরবি কোন মাসে বিয়ে করা উত্তম
তাই সর্বপ্রথম আমাদের জানা জরুরী যে ঈদের নামাজ কত তাকবীর বা কয়
তাকবীর সেটি জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঈদের নামাজ ৬ থেকে ১২ তাকবীর।
এটা অনেকেই জানেনা এ অংশটি আজকে পুরোপুরি পড়ে আপনি জানতে পেরেছেন ঈদের
নামাজে কয় তাকবীর।
ঈদের নামাজ কি ওয়াজিব
দুই ঈদের নামাজের গুরুত্বের ব্যাপারে ইসলামী চিন্তাবিদগণ বিভিন্ন মতামত
প্রকাশ করেছেন।হানাফী মাযহাব অনুসারে দুই ঈদের নামাজ ওয়াজিব। অনুসারে দুই
ঈদের নামাজ ফরজে কিফায়া।শাফেয়ী এবং মালিকি মাযহাব অনুসারে দুই ঈদের নামাজ
সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ।
কোনো কোনো ইসলামী মতে দুই ঈদের নামাজ ওয়াজিবকোনো কোনো ইসলামী পণ্ডিতের মতে
দুই ঈদের নামাজ ফরজে কিফায়া।কোনো কোনো ইসলামী মতে দুই ঈদের নামাজ সুন্নাতে
মুয়াক্কাদাহ, তবে বাস্তবে সকল দেশে মুসলিম সমাজে ঈদের নামাজ একটি ধর্মীয়
উৎসব হিসেবে প্রতি বৎসর উদযাপিত হয়ে থাকেবাংলাদেশ সদেশে নামাজ তো পড়াই
হয়।অধিকন্তু ঈদের দিনটি উৎসবের মধ্য দিয়ে পালন করা হয়।
ঈদের নামাজের ফরজ কয়টি
দুই ঈদের নামাজের গুরুত্বের ব্যাপারে ইসলামী চিন্তাবিদগণ বিভিন্ন মতামত
প্রকাশ করেছেন,হানাফী মাযহাব অনুসারে দুই ঈদের নামাজ ওয়াজিব,হাম্বলী
মাযহাব অনুসারে দুই ঈদের নামাজফরজেকিফায়া শাফেয়ী এবং মালিকি মাযহাব
অনুসারে দুই ঈদের নামাজ সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ,কোনো কোনো ইসলামী পণ্ডিতের
মতে দুই ঈদের নামাজ ওয়াজিব।
কোনো কোনো ইসলামী পণ্ডিতের মতে দুই ঈদের নামাজ ফরজে কিফায়া,কোনো কোনো
ইসলামী পণ্ডিতের মতে দুই ঈদের নামাজ সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ,তবে বাস্তবে সকল
দেশে মুসলিম সমাজে ঈদের নামাজ একটি ধর্মীয় উৎসব হিসেবে প্রতি বৎসর উদযাপিত
হয়ে থাকে।বাংলাদেশ সহ বহু দেশে নামাজ তো পড়াই হয়।অধিকন্তু ঈদের দিনটি
উৎসবের মধ্য দিয়ে পালন করা হয়।
ঈদুলফিতরের নামাজের নিয়ম - ঈদের নামাজ কয় তাকবীর শেষ
কথা ঃ
আশা করতেছি আপনার ঈদের ফিতরের নামাজের নিয়ম এবং ঈদের নামাজের কয় তাকবীর এ
সম্পর্কে সবকিছু বুঝতে পেরেছেন অথবা জানতে পেরেছেন।
তাই আপনার ঈদের নামাজ পড়তে যে সকল নিয়ম জানা প্রয়োজন হয় সে সকল নিয়ম
মেনে যদি নামাজ পড়েন তাহলে আপনার নামাজ অবশ্যই কবুল হবে।
আরো পড়ুন ঃ ফরজ গোসল কখন করতে হয় - কতটুকু বীর্য বের হলে গোসল ফরজ হয়
এছাড়া নামাজ সম্পর্কে আরো কিছু বিষয়ে কোনো প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্ট
বক্সে কমেন্ট করে জানাতে পারেন অথবা আমাদের ওয়েবসাইটের নতুন নতুন
তথ্যমূলক আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন ধন্যবাদ ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url